Home জাতীয় ঝিনাইগাতীতে দ্বিতীয় দফায় পাহাড়ী ঢলে কমপক্ষে ২০ গ্রাম প্লাবিত জনদুর্ভোগ চরমে।

ঝিনাইগাতীতে দ্বিতীয় দফায় পাহাড়ী ঢলে কমপক্ষে ২০ গ্রাম প্লাবিত জনদুর্ভোগ চরমে।

38

আনিছ আহমেদ ( শেরপুর) প্রতিনিধি: শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ভারী বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে আবারও কমপক্ষে ১০ গ্রাম সহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। রামেরকুড়া বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে একটি লেয়ার খামার সহ বসতবাড়ী নদীর গর্ভে বিলীণ, জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। ১৬ জুন বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকে ১৭জুন শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ভারী বর্ষণের ফলে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের পানিতে মহারশী নদীর বাঁধের দু’কোল উপচে বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ঢলের পানি প্রবেশ করে। এতে ঝিনাইগাতী সদর, নলকুড়া, কাংশা, ধানশাইল ও গৌরীপুর ইউনিয়নের অন্তত ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানি বন্দি হয়েছে হাজারও মানুষ। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। এছাড়াও মহারশী নদীর বাঁধ উপচে উপজেলা পরিষদের সম্মুখে পানি ঢুকে পড়ে। উপজেলা পরিষদের সম্মুখের রাস্তা পানির নিচে তলিয়ে যায় এবং উপজেলা পরিষদের ভবনের নিচ তলায় বিভিন্ন অফিসের ভিতরে ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঢলের পানি প্রবেশ করে। এতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য সরকারী দপ্তরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ফাইলপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ঝিনাইগাতী সদর, দিঘীরপাড়, রামনগর, চতল, আহাম্মদনগর, বনকালি, ধানশাইল, কুচনীপাড়া, বাগেরভিটা, কাংশা, হাতিবান্ধা, লয়খা, কামারপাড়া, পাগলার মুখ, দাড়িকালিনগর, কালিনগর সহ ১০টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
এসময় ঝিনাইগাতী সদর বাজারের ব্রীজের পূর্ব পাশে নদীর বাঁধ ভেঙ্গে গিয়ে বেনী আমিনের ২ হাজার লেয়ার মুরগী সেট সহ এবং মরহুম হারুন মিয়ার বসতবাড়ীটি মুর্হুতের মধ্যে নদীর গর্ভে বিলীণ হয়ে যায়। অপর আরেকটি বাড়ীতে একজন গর্ভবতি মহিলা ও শিশুসহ প্রায় ৬/৭ জন নারী পুরুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। তাদেরকে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের লোকজন উদ্ধার করে। এসময়
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আল মাসুদ, থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুল আলম ভুইয়া, সদর ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদৎ হোসেন ও ইউপি সদস্য জাহিদুল হক মনির সহ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শণ করেছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত বেনী আমিন জানান, তার জীবনে তীল তীল করে গড়ে তোলা এই লেয়ার খামারটি মুর্হুতের মধ্যে ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় তার পথে বসা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। অপরদিকে মরহুম হারুন মিয়ার বিধবা স্ত্রী জানান, স্বামীর মৃত্যেুর পর তিনটি সন্তান নিয়ে এখানে মানবেতর ভাবে বসবাস করতাম।কিন্তু আজ আমার বসতবাড়ীটি বিলীণ হয়ে যাওয়ায় খোলা আকাশে দাড়ানো ছাড়া আর কোন উপায় নেই।এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আল মাসুদ জানান, গ্রতিগ্রস্তদের সহযোগীতা করা হবে।