Home কৃষি ঝিনাইগাতীতে আমন চুরি বিলে বন্যায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতি;দাবি স্থানীয় কৃষকদের

ঝিনাইগাতীতে আমন চুরি বিলে বন্যায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতি;দাবি স্থানীয় কৃষকদের

55

ঝিনাইগাতী (শেরপুর) প্রতিনিধিঃ শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের বনগাঁও আমনচুরি বিলে বর্তমান নেই কোনোও বাঁধ,প্রত্যেক বছরের ন্যায় এবারও বন্যায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি স্থানীয় কৃষকদের।

বুধবার বিকেলে সরজমিনে বনগাঁও আমন চূরি বিলে যাওয়া হলে সেখানকার কৃষক মৃত আবু বকর সিদ্দিকের পুত্র এরশাদ (৫৫), মৃত আব্দুর রহিমের পুত্র বাদশা মিয়া (৫৬), মৃত মোহাম্মদ আলীর পুত্র জাহিদ হাসান,মৃত্য আমেজ উদ্দিনের পুত্র ছাইদুল (৫০), মৃত আব্দুল মজিদের পুত্র আতাহার আলী, মৃত আবু বকর সিদ্দিকের পুত্র খোরশেদ আলম,মৃত আব্দুল হাইয়ের পুত্র সেলিম মিয়া সহ কৃষকরা জানান।

আমন চূরি বিলের উত্তরে চকপাড়া, দক্ষিণে মনাকোষা, পশ্চিমে বনগাও পুর্বপাড়া, পূর্ব দিকে বনগাঁও নদীর পাড় এই চার গ্রামের মধ্যস্থলে রয়েছে আমন চুরি বিল।

এ বিলে প্রায় দুইশো একর আবাদি জমির উপর চাষাবাদ হয় দুটি মৌসুম।

যুগ যুগ ধরে কৃষকরা আমন চুরি বিলে শুকনো মৌসুমে বোরো আবাদ করেন আর আমন মৌসুমে অধিক বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে নদী নালা ভরে হয় টইটুম্বুর।

এ বিলের পূর্ব দিক দিয়ে দক্ষিণে প্রবাহিত হয় রঞ্জনা ও চৌমুহনী খালের পানি।

বর্ষাকালে অতি ভারী বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে নদীর পানি প্রবেশ করে আমন চূরি বিলে। ফলে নদী-নালা, ডুবা এসব ভরে গিয়ে বিলে জমা হতে থাকে এসব পানি।

কৃষকরা আরও জানান,বর্ষাকালে পাহাড়ি ঢলে বন্যার পানি যাতে নদী দিয়ে বিলে প্রবেশ করতে না পারে,সে জন্য ড্রেনের মাঝে সকল কৃষকরা মিলে বাঁধ দেয়।

নদীর পানি কমতে থাকলে পরবর্তীতে কৃষকরাই তাদের দেওয়া সেই বাঁধটি কেটে দেয়। তখন দ্রুত বেগে নেমে যায় বিলের পানি।

এ ব্যাপারে গৌরীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল্লাহসহ স্থানীয় কৃষকরা জানান, বনগাও গ্রামের মৃত শহিদুল্লাহর ছেলে রবিউল ইসলাম রিটন ও তার ছোট ভাই রাকিবুল ইসলাম রাকিবের নামে আমনচুরি বিলের পানি নিষ্কাশনের বাঁধ দেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে, এই ঘটনার সাথে তারা কোনও প্রকার জড়িত নেই বলেও জানান তারা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন দিলদার জানান,এব্যাপারে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।