Home রাজনীতি পানছড়ির জনপ্রতিনিধিদের হুমকির ঘটনায় ৫ সংগঠনের প্রতিবাদ

পানছড়ির জনপ্রতিনিধিদের হুমকির ঘটনায় ৫ সংগঠনের প্রতিবাদ

18

ডেস্ক রিপোর্ট: খাগড়াছড়ির পানছড়িতে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট বর্জন করায় রাষ্ট্রীয় একটি বিশেষ গোষ্ঠীর মদদপুষ্ট ঠ্যাঙাড়ে সন্ত্রাসীরা এলাকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিসহ সাধারণ জনগণকে হুমকি ও মোটা অংকের চাঁদা দাবি করার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘসহ পাহাড়ের পাঁচটি গণসংগঠন।

মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারি ২০২৪ পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের সভাপতি কণিকা দেওয়ান, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অংকন চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নীতি চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি জিকো ত্রিপুরা ও ইউনাইটেড ওয়ার্কার্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের সহ-সাধারণ সম্পাদক প্রমোদ জ্যোতি চাকমা সংবাদ মাধ্যমে প্রেরিত এক যুক্ত বিবৃতিতে এই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে পাঁচ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘বাংলাদেশে ভোট দেয়া বা না দেয়া প্রত্যেকের সংবিধানস্বীকৃত একটি মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকার। নাগরিকদের এই অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ করার অধিকার কারোর নেই।

‘কিন্তু পানছড়িতে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দানে বিরত থাকায় রাষ্ট্রীয় বিশেষ গোষ্ঠীর মদদপুষ্ট ঠ্যাঙাড়ে সন্ত্রাসীরা সাংবিধানিক এই অধিকারকে পদদলিত করে এলাকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরকে তাদের আস্তানায় ডেকে এবং ফোনে প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে এবং মোটা অংকের টাকা দাবি করছে।’

এ প্রসঙ্গে একটি ঘটনার উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘গত ৮ জানুয়ারি ঠ্যাঙাড়েরা ৩ নং পানছড়ি ইউনিয়নের মেম্বার মন্দিরা চাকমা, লতিবান ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার সুজাতা চাকমা ও পানছড়ি গণ অধিকার রক্ষা কমিটির সদস্য রোমেল ত্রিপুরাকে ভাইবোনছড়ায় দেওয়ানপাড়াস্থ তাদের আস্তানায় ডেকে নিয়ে হুমকি দেয়, হেনস্থা করে এবং প্রত্যেকের কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা দাবি করে ছেড়ে দেয়।’

পানছড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় একটি ক্ষমতাধর চক্রের ইশারায় চলা ঠ্যাঙাড়েদের উৎপাত সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে মন্তব্য করে পাঁচ গণসংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব সরকারের; কিন্তু পানছড়িসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে বর্তমানে যা ঘটছে তাতে জনমনে এই প্রশ্ন দেখা দেওয়া স্বাভাবিক যে, আসলে ঠ্যাঙাড়েদের অবাধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে ফ্রি লাইসেন্স দেয়া হয়েছে কী না।’

পাঁচ গণসংগঠনের নেতৃবৃন্দ মনে করেন, গত ১১ ডিসেম্বর পানছড়ির অনিল পাড়ায় বিপুল চাকমাসহ চার ছাত্র-যুব নেতাকে হত্যার পরও খুনী ঠ্যাঙাড়ে ও তাদের মদদদাতাদের গ্রেফতার না করায় তারা জনপ্রতিনিধিদেরকে হুমকি প্রদানসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে যেতে সক্ষম হচ্ছে।

নেতৃবৃন্দ, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিসহ সাধারণ জনগণকে হুমকি প্রদানসহ ঠ্যাঙাড়েদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে গ্রেফতার পূর্বক তাদের বিরুদ্ধে আইনগত কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান।