Home জাতীয় পরিবেশ পরিষদের সভা না ডেকে ২১ ফেব্রুয়ারির আয়োজন অগণতান্ত্রিক আচরণের বহিঃপ্রকাশ

পরিবেশ পরিষদের সভা না ডেকে ২১ ফেব্রুয়ারির আয়োজন অগণতান্ত্রিক আচরণের বহিঃপ্রকাশ

41

ডেস্ক রিপোর্ট: শহীদ দিবসের আয়োজনকে কেন্দ্র করে সকল প্রকার গণতান্ত্রিক আচার ঐতিহ্যকে পদদলিত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একের পর এক স্বৈরাচারী পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট। জোটের সমন্বয়ক সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট এর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সালমান সিদ্দিকী, সহ-সমন্বয়ক বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি সাদেকুল ইসলাম সোহেল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি(ভারপ্রাপ্ত) নজির আমিন চৌধুরী জয়, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মিতু সরকার, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি ছায়েদুল হক নিশান এক বিবৃতিতে বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষার জন্য জীবন দিয়েছিলেন ভাষা শহীদেরা। নানা আয়োজনে দেশের মানুষ এই আত্মত্যাগকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করে। এর আয়োজন সার্বিকভাবে সফল করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে। এরই অংশ হিসেবে প্রতিবছরই ঢাকা বিশ্বিদ্যালয়ের পরিবেশ পরিষদের সভা হয়, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির একটি অংশ। সেই সভা থেকে ক্রিয়াশীল গণতান্ত্রিক ছাত্র সংগঠনগুলোর মতামত নেওয়া হয় এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ আয়োজন সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করার জন্য ছাত্র সংগঠন, শিক্ষক সহ সকলের একটি গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা থাকে। কিন্তু আমরা দুঃখের সাথে লক্ষ্য করছি, এবছর একুশে ফেব্রুয়ারির আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরিবেশ পরিষদের কোন সভা না ডেকেই, কারোর মতামতের তোয়াক্কা না করেই স্বৈরাচারী কায়দায় সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছে। এভাবেই ধীরে ধীরে সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে নষ্ট করার অপচেষ্টায় রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আমরা তার নমুনা দেখি যখন মত প্রকাশের স্বাধীনতার দাবিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিবাদী ভাস্কর্য বসানো হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তা রাতের আধারে সরিয়ে ফেলে এবং নষ্ট করে দেয়। আমরা প্রশাসনের এই অগণতান্ত্রিক আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

নেতৃবৃন্দ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এই স্বৈরাচারী আচরণের প্রতিবাদ জানিয়ে আমরা গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের পক্ষ থেকে প্রশাসনিক আয়োজনে পুষ্পস্তবক অর্পণের কর্মসূচিকে প্রত্যাখ্যান করছি।

নেতৃবৃন্দ জানান, জোটভুক্ত ছাত্র সংগঠনগুলো ২১ ফেব্রুয়ারিতে প্রভাতফেরীর মধ্য দিয়ে সর্বস্তরের জনগণের সাথে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করবে। নেতৃবৃন্দ সকলকে এই প্রতিবাদের সাথে একাত্ম হয়ে প্রভাতফেরীতে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান।