ডেস্ক রিপোর্ট: এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জসমূহ কার্যকরভাবে মোকাবেলা করার জন্য রপ্তানি বাজার সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে মন্ত্রিসভা আজ আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি (আরটিএ) নীতি, ২০২২-এর বাংলা ও ইংরেজি সংস্করণের খসড়া অনুমোদন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত সাপ্তাহিক বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বাংলাদেশ সচিবালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ পর্যায়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে রপ্তানি বাজার সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণের পাশাপাশি, বাংলাদেশি পণ্যের জন্য শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের অনেক দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তির জন্য পদক্ষেপ নিয়েছি। তাই এর জন্য নীতি গ্রহণ করা হয়েছে (আরটিএ স্বাক্ষর করা)।’
তিনি বলেন, বৈঠকে বিসিকের আওতাধীন শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও কার্যকর করতে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন আইন, ২০২২-এর খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনটি নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে সহায়তা করবে। ১৯৫৭ সালের বিদ্যমান আইনটি একটি পুরানো, যা সংশোধন প্রয়োজন।
মন্ত্রিসভা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের অধীনে একটি ভাষা গবেষণা ট্রাস্ট গঠনের জন্য আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট (সংশোধন) আইন, ২০২২-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। তিনি বলেন, ট্রাস্টের নাম হবে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাষা গবেষণা ট্রাস্ট’, যার অধীনে একটি স্থায়ী তহবিল তৈরি করা হবে।’ আনোয়ারুল আরও জানান, ভাষা গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য স্থায়ী তহবিল থেকে বৃত্তি ও ফেলোশিপ দেওয়া হবে।
বৈঠকে কূটনৈতিক, অফিসিয়াল, বিশেষ বা সার্ভিস পাসপোর্টধারীদের জন্য পারস্পরিক ভিসা অব্যাহতির বিষয়ে বাংলাদেশ ও ওমানের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তি অনুমোদনের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপাল মোটর ভেহিকেল এগ্রিমেন্টের (বিবিআইএন-এমভিএ) অধীনে নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে ট্রানজিট কার্গো পরিবহনের অপারেটিং পদ্ধতির বিষয়ে তার পূর্বের সিদ্ধান্ত বাতিল করে মন্ত্রিসভা নেপালকে ট্রানজিট সুবিধা প্রদানের প্রস্তাবও অনুমোদন করেছে।
আগামী ২৫ জুন পদ্মাসেতু যান-চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া উপলক্ষে সরকারের কর্মসূচি সম্পর্কে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সেতুটি উদ্বোধন করা হবে। এছাড়া, সারাদেশের ৬৪টি জেলায়ও অনুরূপ জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের অয়োজন করা হবে।