Home রাজনীতি ৬০ হাজার লাল গেঞ্জি ও পতাকা হাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে থাকবেন সম্রাট

৬০ হাজার লাল গেঞ্জি ও পতাকা হাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে থাকবেন সম্রাট

209

স্টাফ রিপোটার : আগামীকাল ১১ নভেম্বর ৬০ হাজার লাল গেঞ্জি ও যুবলীগের দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে সকাল নয়টা থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নির্দিষ্ঠ স্থানে উপস্থিত থাকবেন ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়া মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। তাদের সঙ্গে জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে উপস্থিত থাকবেন এক সময় ঢাকা মহানগর দক্ষিন যুবলীগ ইউনিটের শ্রেষ্ঠ সংগঠক ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট।
ঢাকা মহানগর দক্ষিন যুবলীগের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিটের নেতাকর্মীরা বলছেন,আগামী ১১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান জনসমুদ্রে পরিণত করতে ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের নির্দেশে সমাবেশে উপস্থিত থাকবো। তারা বলেন, আজকে যুবলীগের নেতাকর্মীরা আনন্দ, উচ্ছ্বাস ও উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে সুবর্ণজয়ন্তী পালনের ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছি। আজকের পর থেকে বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করা তো দুরের কথা, মাঠে নামতে ভয় পাবে।
কথা হয় ৬৭ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি কাজী খলিলুর রহমান খলিলের সাথে। তিনি বলেন, আজকে নতুন আঙ্গিকে মাঠে নামছে যুবলীগ। যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের নির্দেশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি নেতাকর্মী উজ্জীবিত হয়ে সমাবেশ সফল করার লক্ষ নিয়ে অবিরাম কাজ করছে। একই কথা বলেছেন যুবমহিলা লীগের নেত্রী নাসরিন সুলতানা ঝরা। তিনি বলেন, যুবলীগ মানেই ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। নিঃসন্দেহে উনি একজন ভালো সংগঠক ও জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশস্ত ও আস্তাভাজন কর্মী। তৃণমূল নেতাকর্মীদেরও প্রান তিনি। জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন যেখানে কর্মসূচি দিয়ে মাঠে থাকবেন,সেই কর্মসূচি সফল করার লক্ষে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন সম্রাট। তাই সম্রাটের নির্দেশ প্রতিটি নেতাকর্মী অক্ষরে অক্ষরে নিঃস্বার্থ ভাবে পালন করেন। একইসুরে কথা বলেছেন অন্তত ১৪ টি ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।
প্রসঙ্গত: যুবলীগের শ্রেষ্ঠ ইউনিটের শ্রেষ্ঠ সংগঠক হিসেবে উপাধি পাওয়া ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট আবারো রাজপথে নেমেছেন।
এতে উজ্জীবিত হয়ে উঠছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিন যুবলীগের নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়া মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট আবারো আলোচনায় রয়েছেন। তার জন্য আপামর গরীব – দুঃখী মানুষজন দুই হাত তুলে দোয়া করছেন।
১৯৯০ সালে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন সম্রাট। তখন অবিভক্ত ঢাকা ছাত্রলীগের একজন নেতা ছিলেন তিনি। সেসময় সারাদেশে সামরিক শাসক এরশাদবিরোধী আন্দোলন চলছিল। সম্রাট রাজধানীর রমনা অঞ্চলে আন্দোলনের সংগঠকের দায়িত্বে ছিলেন। এ কারণে তখন তাকে জেলও খাটতে হয়। সম্রাটের পৈত্রিক নিবাস ফেনী জেলার পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের পূর্ব সাহেবনগর গ্রামে। নিজের এলাকায় আর্থিক সহযোগিতা, বিশেষ করে স্থানীয় মসজিদ ও মাদ্রাসার ‘বড় দাতা’ হিসেবে খ্যাতি রয়েছে তার।
১৯৯১ সালে এরশাদের পতনের পর প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসে বিএনপি সরকার। সেই আমলে সম্রাটের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা হয়। এরপর ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় যুবলীগের একজন প্রভাবশালী নেতা হিসেবে পরিচিতি পান তিনি। তখন ঢাকা মহানগর যুবলীগের সভাপতি ছিলেন নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন। সম্রাট ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক। একটি হত্যা মামলায় শাওনের প্রস্থানের পথ ধরে যুবলীগের ক্ষমতার রাজনীতিতে কার্যত উত্থান ঘটে সম্রাটের। শাওন চৌধুরীর প্রস্থানের পর মহানগর দক্ষিণের সভাপতির পদ পান সম্রাট। এরপর আর তাকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। দিন দিন ক্ষমতাবান হতে থাকেন তিনি।
আওয়ামী লীগের বড় বড় সব রাজনৈতিক কর্মসূচিতে পরিচিত মুখ হিসেবে উপস্থিত হতে থাকেন সম্রাট। দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচিতে কর্মীদের নিয়ে ব্যাপক শোডাউন করেছেন তিনি।