ডেস্ক রিপোর্ট: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ এক বিবৃতিতে চট্টগ্রাম, কিশোরগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর সরকারের দমন নিপীড়নের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, হয়রানী বন্ধের দাবী জানিয়েছেন।
আজ এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১৬ জানুয়ারী দুর্নীতিবাজ গণতন্ত্র বিরোধী সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবী বাস্তবায়ন ও বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবীতে দেশব্যাপী সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচী বানচাল করতে জনবিচ্ছিন্ন সরকার তার অনুগত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অপ-ব্যবহার করে চট্টগ্রামে সমাবেশে আগত নেতাকর্মীসহ জনসাধারণের ওপর গুলি, লাঠিচার্জ, টিয়ারসেল নিক্ষেপসহ গ্রেফতার ও নির্মম নির্যাতন করে। ব্যাপক তান্ডব চালিয়ে কর্মসূচি পন্ড করে দেয়। রাতে বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা.শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করসহ নেতাকর্মীদের ওপর মিথ্যা মামলা দায়ের করে। তাদেরকে আটক করতে রাতের আধাঁরে তাদের বাসা বাড়ীতে পুলিশ অভিযান চালায়, তাদের পরিবার পরিজনের সাথে অসৌজন্য আচরণ ও হয়রানী করে। হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নিতে ঢাকায় আসার পথে কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তিসহ নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে। এমনকি ১৯ জানুয়ারী মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম-এর ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানে যোগাদানকারী নেতাকর্মীদেরকেও গ্রেফতার করে। সমগ্র চট্টগ্রাম মহানগরীতে পুলিশ আতঙ্ক এবং নির্যাতন চালাচ্ছে।
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর, ভৈরবসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী কর্মীরা বিএনপির কর্মসূচিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এবং নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়, কুলিয়ারচর উপজেলাধীন সালুয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সরাপ উদ্দিন সুপন, ফরিদপুর ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মোঃ জালালসহ নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে। বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলমসহ কুলিয়ারচর উপজেলা ও পৌর বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এসব মিথ্যা মামলা, বাসায় বাসায় তল্লাশী, গ্রেফতার আতঙ্ক সৃষ্টি করে জনগণের এই চলমান আন্দোলন কোন ভাবেই দমন করা যাবে না। জনগণের তীব্র আন্দোলনের মুখে এই অবৈধ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। সারাদেশে বিএনপিসহ বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের নির্মূলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে অবৈধ ফ্যাসীবাদী এই সরকার। তিনি আরো বলেন, জনগণের ম্যান্ডেড বিহীন সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থ এই সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে হামলা, মিথ্যা মামলা দায়ের, নেতা-কর্মীদের বাসায় বাসায় রাতের আধাঁরে তল্লাশী করে ভয়-ভীতির সঞ্চার, গণ-গ্রেফতার চালিয়ে তাদের ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে পারবে না। সরকারের সকল হামলা, মামলা, নির্যাতনকে উপেক্ষা করে এদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ রাজপথের আন্দোলন আরো বেগবান করে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটাবে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অবিলম্বে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশররফ হোসেন দীপ্তিসহ আটককৃত নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি ও হয়রানী বন্ধের আহবান জানিয়ে বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, ময়মনসিংহ বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা.শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করসহ নেতৃবৃন্দের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং বিনা কারণে বিএনপি’র গণতন্ত্রকামী নেতা-কর্মীদের বাসায় বাসায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তল্লাশী ও হয়রানী বন্ধের আহবান জানান।
