Home জাতীয় গরমে জমছে না মার্কেট, অনলাইন শপিংয়েও ক্রেতা কমার অন্যতম কারণ

গরমে জমছে না মার্কেট, অনলাইন শপিংয়েও ক্রেতা কমার অন্যতম কারণ

25

ডেস্ক রিপোর্ট: বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের পরের দিন শনিবার রাজধানীর মার্কেটগুলো মোটামুটি ফাঁকাই ছিল। প্রচণ্ড গরমের কারণেই মার্কেটগুলোতে ক্রেতা কম আসছেন বলে মনে করছেন বিক্রেতারা। তবে এখনো অনেক দোকানি আশাবাদী যে, হয়তো রবিবার থেকে ঈদের কেনাকাটা জমে উঠবে। অনলাইন শপিংও মার্কেটে ক্রেতা কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন অনেকে। গতকাল রাজধানীর বড় শপিংমলগুলো ঘুরে দেখা যায়, লোকসমাগম তুলনামূলকভাবে বেশি বসুন্ধরা সিটি ও যমুনা ফিউচার পার্কে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন এই বড় দুই মার্কেটে।
যমুনা ফিউচার পার্কে ঘোরাফেরা করছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তিন বন্ধু। তারা জানান, অন্য এক বন্ধুর শপিং করতে এসেছেন তারা। একজন বলেন, আমি অনলাইনে কাবলি সেট অর্ডার করেছি। তারা বলেন, ‘এখন তো ভার্চুয়াল যুগ। কেন এই বৈরী আবহাওয়ায় মার্কেটে আসবে মানুষ। আমরা ঘরে বসেই সব কিনতে পারছি।’
ঈদে মেয়েদের পোশাকের মধ্যে আছে সারারা, গারারা, স্কার্ট, কাপ্তান, লং গাউন, থ্রি-পিস, টু-পিস, ওয়ান পিস। ছেলেদের জন্য পাঞ্জাবি, পায়জামা, শার্ট, ফতুয়া, প্যান্ট পাওয়া যাচ্ছে। এক ছাদের নিচে সবধরনের পণ্যসামগ্রী, বিশেষ করে ব্র্যান্ডের পণ্যসামগ্রী পাওয়া যায় বলে এই মার্কেটটি জনপ্রিয় হয়েছে বলে জানান ক্রেতা-বিক্রেতারা। তবে দাম বেশি বলে জানান অনেক ক্রেতা। পুরান ঢাকা থেকে শপিংয়ে এসেছেন আনোয়ার হোসেন ও তার পরিবার। সম্প্রতি তিনি সৌদি আরব থেকে ফিরেছেন। তার স্ত্রী শাড়ি কিনেছেন ৪ হাজার ৩০০ টাকায়। ছয় বছর বয়সি মেয়ের জামা কিনেছেন ৩ হাজার ২০০ টাকায় ও ১২ বছর ছেলের জন্যে শার্ট-প্যান্ট ও পাঞ্জাবি কিনেছেন ৬ হাজার টাকায়। তিনি বলেন, এখানে দামটা অনেক বেশি।

তবে দেশীয় ব্র্যান্ড আড়ং-এর প্রতিটি আউটলেটে ভিড় দেখা যায়। সেখানে শাড়ি কিনতে দেখা যায় দুই তরুণীকে। তারা জানান, মায়ের জন্যে শাড়ি কিনছেন। বলেন, শাড়িগুলোর দাম আগের চেয়ে বেড়ে গেছে। থ্রিপিসের দাম অনেক বেশি। এগুলো এখন মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। এখানে ওয়ানপিস তাগা পাওয়া যাচ্ছে সর্বনিম্ন ১ হাজার টাকায়।
ইত্তেফাক