Home সারাদেশ বিজয়নগরে দিনে দুপুরে পুকুর ভরাট করছে প্রভাবশালীরা

বিজয়নগরে দিনে দুপুরে পুকুর ভরাট করছে প্রভাবশালীরা

28

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় মার্কেট নির্মাণ করতে পুকুর ভরাট করছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। গত দুই মাস ধরে ট্রাক্টরে করে মাটি ফেলে ভরাট কাজ চললেও উপজেলা প্রশাসন নিরব ভূমিকায় রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, বিজয়নগরের চান্দুরা-আখাউড়া সড়কের উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের মির্জাপুর মোড়ে রাস্তা সংলগ্ন পূর্বদিকে প্রায় ৪০-৫০ বছর পুরোনো একটি পুকুর রয়েছে। পুকুরের পূর্বদিকের জলফু মিয়া, আজিজুল হক ওরফে মলাই মিয়া ও করিম মিয়াসহ স্থানীয়রা ৭২শতক পরিমানের এই পুকুরের মালিক। উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটক থেকে প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ মিটার দূরত্বে এই পুকুরটির অবস্থান। এ সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে যাতায়াত করতে হয়। গত তিন থেকে সাড়ে তিন মাস আগে মাটি দিয়ে ভরাট করতেই পুকুরের পানি সেচে সরানো হয়। পরে জলফু, মলাই ও করিমসহ স্থানীয় প্রভাবশালীরা উপজেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রাক্টর দিয়ে মাটি এনে পুকুর ভরাটের কাজ শুরু করে। ভরাটকারীরা অনুমতির জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত আবেদনও করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এসিল্যান্ড প্রতিদিন পুকুরের সামনে দিয়ে যাতায়াত করেন। তারা কোনো কিছু বলছে না। তারা নিরব। তারা বলেন, ভরাটকারীরা সবাই আমার নিজের মানুষ। গত কয়েকদিন আগে মাটি ফেলার সময় ট্রাক্টরের চাবি নিয়ে যাওয়ার পর ওয়াদুদ (এএসআই) নামে থানার এক দারোগাকে ৩০ হাজার টাকা দিছি। প্রেসক্লাবের এক সাংবাদিককে ৩০ হাজার ও উপজেলা প্রশাসনকে ৯০ হাজার টাকা দিছি। তিনি বলেন, ভাই আপনেরা কেরে আইলেন। প্রশাসন থেকে শুরু করে সাংবাদিক সবাইরে ম্যানেজ কইরাই এটা ভরাট করতেছি।
পুকুরের মালিক আজিজুল হক ওরফে মলাই মিয়া বলেন, ম্যাডামরে (ইউএনও) কাছে সব কাগজপত্র জমা আছে। সব দিছি। জায়গাটি ২০০০ সালে আমরা কিনছি। এইডা পুকুর না, জলাশয়। এখানে জায়গা আছে ৭২শতক।
ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জিয়াউল হক বলেন, এটি ৪০ বছর ধরে পুকুর হিসেবে দেখতেছি। ভরাট বন্ধের জন্য বলেছি। বিষয়টি ইউএনও মহোদয়কেও জানিয়েছি।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেহেদি হাসান খান বলেন, অভিযোগ আসার পর ভরাট বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া আফরোজ বলেন, আমার কাছ থেকে ভরাটের কেউ কোনো অনুমতি নেয়নি।