Home সাহিত্য ও বিনোদন কবি শামসুর রাহমান স্মরণে একক বক্তৃতা অনুষ্ঠান

কবি শামসুর রাহমান স্মরণে একক বক্তৃতা অনুষ্ঠান

36

স্টাফ রিপোটার: বাংলা একাডেমি আজ ১৭ই আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে কবি শামসুর রাহমান স্মরণে একক বক্তৃতানুষ্ঠানের আয়োজন করে। স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। শামসুর রাহমান : আধুনিক বাংলা কবিতার প্রাণপুরুষ শীর্ষক একক বক্তৃতা প্রদান করেন কবি অসীম সাহা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাংলা একাডেমি সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. মোঃ হাসান কবীর। অনুষ্ঠানের শুরুতে কবি শামসুর রাহমানের কবিতা আবৃত্তি করেন বাচিকশিল্পী রফিকুল ইসলাম এবং শামসুর রাহমানের কবিতার ইংরেজি অনুবাদ পাঠ করেন অধ্যাপক আবু জাফর।
কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, শামসুর রাহমান নিরন্তর কবিতার সাধনা করে গেছেন। তাঁর সাধনায় বাংলা কবিতা বিশ্বকবিতার মানচিত্রের সঙ্গে সাবলীল এবং বর্ণাঢ্যভাবে যুক্ত হয়েছে, যা আমাদের পরম গৌরবের বিষয়।
কবি অসীম সাহা বলেন, আধুনিক বাংলা কবিতার অন্যতম প্রধান প্রাণপুরুষ কবি শামসুর রাহমান আমাদের পলে পলে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি আছেন বাঙালির সমস্ত অস্তিত্বজুড়ে। তিনি আছেন বাঙালি জাতিসত্তার ওপরে আঘাতের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর শক্তিতে উদ্বুদ্ধ করার কাজে আমাদের অনুপ্রেরণার উৎসপুরুষ হিসেবে এবং তিনি আছেন সাম্প্রদায়িক শক্তির কাছে আত্মসমর্পণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর শক্তি নিয়ে আছেন। এক জটিল সময়ে যাঁর প্রয়োজন ছিল সবচেয়ে বেশি, তিনি জাগতিক জীবনে অস্তিত্বহীন হলেও, সেই কবি শামসুর রাহমান জাতির সঙ্কটকালেও তাঁর কবিতা নিয়ে সর্বক্ষণ আছেন আমাদের পাশে। বাংলা কবিতা যতদিন থাকবে, তিনি থাকবেন আমাদের অস্তিত্বের সঙ্গী হয়ে।
কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, শামসুর রাহমান ব্যক্তিমানসকে যুক্ত করেছেন বাঙালি জাতির দিগন্তপটে। তিনি সারাজীবন কবিতার মধ্য দিয়ে মূলত শুদ্ধতার সাধনা করেছেন।
ড. মোঃ হাসান কবীর বলেন, কবি শামসুর রাহমান বাংলা সাহিত্যের বরেণ্য কবিই শুধু নন, তিনি ছিলেন বাংলা একাডেমির সম্মানিত সভাপতি। বাংলা একাডেমি পরিবার এজন্য গর্বিত।