Home রাজনীতি নগর দক্ষিণ আ.লীগের নেতা শরিফের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ

নগর দক্ষিণ আ.লীগের নেতা শরিফের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ

89

স্টাফ রিপোটার: ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ নেতা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এফ এম শরিফুল ইসলাম শরিফ এর একটি ভিডিয়ো এডিট করে তা কতিপয় একটি চক্র নানাভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করছে।
একইসাথে চক্রটি অপপ্রচার চালিয়ে ইতোমধ্যে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করেছে।তবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন এফ এম শরিফুল ইসলামের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি নজরে নেয়। ভিডিও টি এডিটেড (সম্পাদিত) হওয়ায় এবং এফ এম শরিফুল ইসলামের সম্মানহানি হওয়ার বিষয় গুরুত্ব দিয়ে করাপশন বার্তা ও ভয়েস অব বাংলাদেশ নামে অনিবন্ধিত দুইটি ভূঁইফোড় অনলাইন থেকে ভিডিও টি অপসারণ করে।
এর আগে এডিটেড (সম্পাদিত) ভিডিও টি এফ এম শরিফুল ইসলামের নজরে আসলে তিনি গত ২৬ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে সূত্রাপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। জিডি নম্বর ১১১৩ এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হতে মিথ্যা ভিডিও টি অপসারণ করার আবেদন করেন। পরবর্তীতে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে ভিডিও টি ভূঁইফোড় অনলাইন করাপশন বার্তা ও ভয়েস অব বাংলাদেশ থেকে ভিডিয়ো অপসারণ করে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, অনলাইন পোর্টাল দুটিতে প্রকাশিত এই ভিডিয়োর সাথে এফ এম শরিফুল ইসলাম শরিফের সহধর্মিণীর ছবি সংযুক্ত করে এবং প্রযুক্তির সহযোগিতায় এফ এম শরিফুল ইসলামকে নিয়ে আদলে অশ্লীল ভিডিও তৈরি করে তা এফ এম শরিফুল ইসলামের সম্মানহানি করতে একটি পক্ষ ব্যবহার করেছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করছেন ড. জিয়াউল হাসান। তিনি বলেন, বর্তমানে প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধন হওয়ায় খুব সহজে সাধারণ অ্যাপস অথবা এডিটিং টুলস ব্যবহার করে যেকোনো ছবি বা ভিডিয়ো যে কেউ এডিট (সম্পাদনা) করতে পারে। আর এভাবেই সহজলভ্য এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতিপক্ষকে হয়রানি ও সম্মানহানি করার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, বিশেষ করে দেশের বাইরে থেকে সরকারের বিরোধী শক্তি প্রায়ই এমন অপপ্রচার করে থাকে। এমনটি করে সাম্প্রদায়িক হামলার মতো ঘটনাও দেশে ঘটানো হচ্ছে। আমাদের গুজবে বিশ্বাস করা যাবে না। সবকিছু যাচাই করতে হবে।

এদিকে, ৪ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মোঃ রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকান্ডের কারণে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশক্রমে গঠনতন্ত্রের ৪৭(৯) ধারা মোতাবেক ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এফ এম শরিফুল ইসলাম শরিফকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এফ এম শরিফুল ইসলাম শরিফ এর পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল ও তৃণমূলের নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। একাধিক নেতৃবৃন্দ নাম প্রকাশ না করারশর্তে জানান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক টিম ঢাকা -৫ (ডেমরা-যাত্রাবাড়ী) সুসংগঠিত করতে এফ এম শরিফুল ইসলাম সাংগঠনিক দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন এবং তিনি দুঃসময়ের ছাত্রনেতা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বিরোধী অপশক্তি দমনে সফলতা দেখিয়েছেন। সুতরাং তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হওয়া স্বাভাবিক। এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ঘটনাটি সম্পর্কে তথ্য যাচাই করা উচিত ছিল। দেশের মূলধারার কোন গণমাধ্যমে বিষয়টি স্থান পায়নি। তবে ভূঁইফোড় নিবন্ধনহীন অনলাইনের অপপ্রচারকে কেন্দ্র করে এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেন একাধিক দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ।

নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড প্রচার ও সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এর সাংগঠনিক গতিশীলতা বৃদ্ধি করায় বিরোধী অপশক্তি তার বিরুদ্ধে এমন ষড়যন্ত্র করেছে। এছাড়া আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগকে বিতর্কিত করতে আওয়ামী বিরোধী অপশক্তি টার্গেট মিশনে নেমেছে। এমন অপপ্রচারে যোগ্য নেতৃত্ব কোণঠাসা করতে বৃহৎ ষড়যন্ত্রের অংশ বলে সূত্রটি নিশ্চিত করেছে।

এ বিষয়ে এফ এম শরিফুল ইসলাম শরিফ বলেন, আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আদর্শ ধারণ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত – সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে রাজপথে সক্রিয় রয়েছি। আমি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সম্মানিত সভাপতি আলহাজ্ব আবু আহমেদ মন্নাফী এবং সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ হুমায়ুন কবির এর প্রতি আস্থাশীল। বিজ্ঞ নেতৃবৃন্দ তাদের সিদ্ধান্ত নিশ্চয়ই পুনরায় বিবেচনা করবেন।
তিনি বলেন, আমাকে কেন্দ্র করে আমার সম্মানহানি করতে একটি চক্র ভিডিও প্রচার করেছিল। সেই ভিডিও টি এডিট (সম্পাদনা) করা এবং মিথ্যা হওয়ায় ইতোমধ্যে তা বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন নিয়ন্ত্রণ সংস্থা অপসারণ করেছে। অনেকে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেছে। আশাকরি তারা বিষয়টি অনুধাবন করবেন। রাজনীতির মাঠে ষড়যন্ত্র থাকবে, অপপ্রচার থাকবে। আশাকরি সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সহায়ক শক্তি হিসেবে রাজপথে সক্রিয় থাকবো ।