Home জাতীয় ধর্ষণের দায়ে দণ্ডিত শিক্ষকের জামিন প্রাপ্তিতে ক্ষোভ ও উদ্বেগ

ধর্ষণের দায়ে দণ্ডিত শিক্ষকের জামিন প্রাপ্তিতে ক্ষোভ ও উদ্বেগ

29

ডেস্ক রিপোর্ট: প্রগতিশীল নারী সংগঠনসমূহের নেতৃবৃন্দ যথাক্রমে সিপিবি নারী সেলের কেন্দ্রীয় নেতা লুনা নূর, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সভাপতি শম্পা বসু, শ্রমজীবী নারী মৈত্রীর সভাপতি বহ্নিশিখা জামালী, নারী সংহতির সাধারণ সম্পাদক অপরাজিতা চন্দ, বিপ্লবী নারী ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনা আক্তার, বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত এবং হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নীতি চাকমা এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে দণ্ডিত শিক্ষক আব্দুর রহিমের জামিন প্রাপ্তিতে তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

আজ মঙ্গলবার (১৮ জুলাই ২০২৩) সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে প্রগতিশীল নারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এই ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, “রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার লংগদু উপজেলার একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়। কিন্তু সেই সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে উচ্চ আদালতে জামিন চাইলে আক্রান্ত নারীকে বিয়ে করা ও এক একর জমি লিখে দেওয়ার শর্তে ধর্ষকের জামিন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট।”

নেতৃবৃন্দ বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রতিনিয়ত নারীর ওপর যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। যার মধ্যে অনেক ঘটনা ধামাচাপা পড়ে আলোর মুখ দেখতে না পেলেও ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর করল্যাছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম কর্তৃক এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় তোলে। গণরোষের মুখে প্রশাসন ধর্ষক আব্দুর রহিমকে গ্রেফতার করে এবং বিচারে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।

২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর ধর্ষক আব্দুর রহিমকে দেয়া এ রায় উচ্চ আদালতের প্রতি পার্বত্যবাসীদের মনে আস্থা ফিরিয়ে আনে, কিছুটা হলেও ন্যায় বিচার হয়েছে ধরে নিয়ে তারা স্বস্তি বোধ করে। চলতি মাসে ধর্ষক আব্দুর রহিম মিথ্যা ও জালিয়াতির মাধ্যমে আক্রান্ত নারীকে বিয়ে করা ও এক একর জমি লিখে দেয়ার শর্তে জামিন পায়। তা একদিকে উচ্চ আদালতকেও বিতর্কিত করেছে। অন্যদিকে আক্রান্ত নারীর প্রতি চরম অবিচার, তাকে লাঞ্ছিত ও হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে।

নেত্রীবৃন্দ অবিলম্বে ধর্ষক আব্দুর রহিমকে জালিয়াতি ও ভূয়া কাগজপত্র দেখিয়ে মিথ্যার আশ্রয় নেয়ার অপরাধে গ্রেফতার এবং জালিয়াতি আইনে বিচার ও সাজা প্রদান সহ পূর্বের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।