নেতাকর্মীরা আমাকে ঘিরে মানবঢাল তৈরি করে

স্টাফ রিপোটার : নির্বাচন এলেই বিএনপি ষড়যন্ত্র শুরু করে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ২০০১ সালে কিছু সুশীল ও দুটি দেশের দূতাবাসকর্মীরা ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগকে হারিয়ে দিয়েছিল।
রোববার গ্রেনেড হামলার ১৮তম বার্ষিকী উপলক্ষে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে তিনি একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে দলীয় কার্যালয়ের সামনে নির্মিত শহীদ বেদিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন।
প্রকাশ্য দিবালোকে কীভাবে এ ধরনের (২১ আগস্টের হামলা) গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে এমন প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সেদিন নেতাকর্মীরা আমাকে ঘিরে একটা মানবঢাল তৈরি করে। একের পর এক গ্রেনেড হামলা। হানিফ ভাইয়ের গায়ে ও মাথায় যে স্প্লিন্টার লেগেছে, সেটার কারণে তার রক্ত গড়িয়ে গড়িয়ে আমার গায়ে পড়ছিল। এরকম একটা ভয়াবহ পরিস্থিতি।
এ সময় ভয়াল ২১ আগস্টের সেই গ্রেনেড হামলার ঘটনায় স্মৃতিচারণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূন্য করতেই বিএনপি-জামায়াত তথা চার দলীয় জোট সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে নৃশংসতম এই গ্রেনেড হামলা চালায়। তারা গণতন্ত্রের কথা বলে, তাহলে এটা কিসের গণতন্ত্র?
একটা প্রকাশ্য জনসভায় কীভাবে গ্রেনেড মারতে পারে?
শেখ হাসিনা বলেন, আমি বাবার পথ ধরেই এ দেশের মানুষের জন্য কাজ করছি। গ্রেনেড, বোমা, বুলেট দিয়ে বারবার হত্যাচেষ্টা হয়েছে। আল্লাহর রহমতে নেতাকর্মীরা আমাকে বাঁচিয়েছেন।
তিনি বলেন, ২১ আগস্ট নারকীয় হামলা ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে বিচার করা ছিল সরকারের নৈতিক দায়িত্ব। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো হত্যাকারীদের রক্ষায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এসময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, নুরুল ইসলাম নাহিদ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম প্রমুখ। এছাড়াও মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্যসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।
এরআগে রাজধানীর ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও প্রয়াত এমপি হাবিবুর রহমান মোল্লা জেষ্ঠ্যপুত্র মশিউর রহমান মোল্লা সজলের নেতৃত্বে বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেইটে সকাল সাড়ে ৮ টায় কয়েক হাজার নেতাকর্মী নিয়ে অবস্থান নেন এবং সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরে স্লোগান দেয় নেতাকর্মীরা। একইভাবে যাত্রাবাড়ি থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু ও সাধারণ সম্পাদক হারুনর রশীদ মুন্নার নেতৃত্বে সকাল ৯ টায় জিরোপয়েন্টে অবস্থান নেন এবং শেখ হাসিনা নামে স্লোগান দেয়। গুলিস্তানের গোলাপ শা মাজারের পাশে সকাল ৯ টায় অবস্থান নেয় ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী আশিকুর রহমান লাভলু ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন। এ সময় তাদের নেতৃত্বে ২ হাজার নেতাকর্মী ২১ শে আগস্টের গ্রেনেড হামলা দিবসে শেখ হাসিনাকে নিয়ে উন্নয়ন মূলক স্লোগান দেয়। একইভাবে রাজধানীর বিভিন্ন থানা- ওয়ার্ড থেকে আগত নেতাকর্মীদের স্লোগানে স্লোগানে কম্পিত হয়ে উঠে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ দলীয় কার্যালয় ও আশপাশের এলাকা।