Home সারাদেশ ধর্মগড়-দেবীগঞ্জ স্থল বন্দর ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন ও লংমার্চ ও স্মারকলিপি প্রদান

ধর্মগড়-দেবীগঞ্জ স্থল বন্দর ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন ও লংমার্চ ও স্মারকলিপি প্রদান

48

আবদুল্লাহ আল নোমান,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড় ইউনিয়নে পাকিস্তান আমলে ১৯৫৮-৬৫ সাল পর্যন্ত ধর্মগড়-দেবীগঞ্জ চেকপোস্ট স্থলবন্দরটি চালু ছিল। অজ্ঞাত কারণে ১৯৬৫ সালে সেটি বন্ধ হয়ে যায়। সেটি আবারও পুনরায় চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও লংমার্চ কর্মসূচি পালন করেছে ঐ এলাকার স্থানীয় প্রায় ৫ শতাধিক মানুষ।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টায় ধর্মগড়-দেবীগঞ্জ স্থলবন্দর বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে চেকপোস্ট বাজার ও দুপুর ১ টায় উপজেলা গেটের সামনে এটি চালুর দাবিতে বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন করেন তারা।

সেইসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আ’লীগ সভাপতি সইদুল হক, পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান,জেলা আ’লীগ সদস্য আব্দুল কাদের, ধর্মগড় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মুকুল, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মেহেদী হাসান শুভ, প্রেসক্লাব সভাপতি ফারুক আহমেদ সরকার সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ প্রমূখ।

মানববন্ধনে ধর্মগড় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেন, ‘পাকিস্তান আমলে আমাদের এখানে চেকপোস্ট ও স্থলবন্দর দীর্ঘ দিন চালু ছিল। কিন্তু ৭১ এর আগে সেটি ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এটিকে পুনরায় চালু কারার দাবিতে আমরা মানববন্ধন ও লংমার্চ কর্মসূচিতে নেমেছি। সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ও এলাকাবাসীর উন্নয়নের কথা চিন্তা করে আবার এটিকে চালু করার দাবি জানাচ্ছি। এটিও একটি সরকারের ৪১ সালের ভিশনের অংশ বলে আমি মনে করছি এবং স্থলবন্দরটিকে চালু হলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি ঘটবে।

ধর্মগড় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মুকুল বলেন, যেহেতু আমাদের এখানে চেকপোস্ট ও স্থলবন্দর চালু ছিল সেহেতু এটি আমাদের শুধু দাবি নয় এটা আমাদের প্রাপ্য। এটি আমাদের এলাকার বাসীর প্রাণের দাবি। স্থলবন্দরটি চালু হলে চিকিৎসা, পর্যটন ও ব্যবসায়িক সম্প্রসারণ বৃদ্ধি পাবে। তাই সরকারকে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে এটিকে চালু করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মেহেদী হাসান শুভ বলেন, ১৯৫৮ সালে যখন এখানে চেকপোস্ট ও স্থলবন্দর চালু ছিল তখন এখানকার ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ছিল। বর্তমানে প্রতিবছর এখানে ৩৭৩ ও ৩৭৪ নং পিলারের কাছে দুই দেশের মানুষের মিলন মেলা বসে। এপার ওপার বাংলার লাখ লাখ মানুষ এই মেলা অংশ নেন। তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ আইন, ২০০১ এর ৩ ধারা ও কাস্টমস আইন, ১৯৬৯ এর ৯ ধারার আইন প্রয়োগের মাধ্যমে আবার এই বন্দরটিকে চালু করে তাহলে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ শির উঁচু করে দাঁড়াবে। এবং এটি চালু হলে দেশের এলাকার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা বাণিজ্যের অনেক উন্নয়ন ঘটবে। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি স্থলবন্দরটি পুনরায় চালু করার অনুরোধ ও জোর দাবি করছি।
মানববন্ধন ও লংমার্চ শেষে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

রাণীশংকৈল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল সুলতান জুলকারনাইন কবির স্টিভ জনকন্ঠকে বলেন, বন্দর চালুর বিষয়ে স্মারকলিপি পেয়েছি। আমি এটি চালুর ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিকট প্রেরণ করবো। আশা করি এবিষয়ে তারা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।