ডেস্ক রিপোর্ট: ডিজেল-কেরোসিনসহ দ্রব্যমূল্য ও পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, মধ্যরাতে হঠাৎ করে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে সরকার প্রমাণ করেছে তারা জনগণের বিপক্ষে, লুটেরা সিন্ডিকেটের পক্ষে। জনমতের বিরুদ্ধে গিয়ে, বিকল্প সমাধান চেষ্টা না করে অযৌক্তিকভাবে বৃদ্ধির মানে ৯৫ ভাগ মানুষকে সরাসরি আক্রমণ করার সমতুল্য। এসব সিদ্ধান্তে কতিপয় ব্যক্তি ও গোষ্ঠী খুবই লাভবান হয় সন্দেহ নেই, কিন্তু জনগণের ওপর বহুমাত্রিক বোঝা তৈরি হয়। পণ্য পরিবহন ও জনপরিবহন ব্যয়, কৃষি ও শিল্প উৎপাদন ব্যয় অব্যাহতভাবে বেড়ে যাবার কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব দ্রব্যের মূল্যের ঊর্ধ্বগতির চাপ তৈরি হয়। লক্ষ লক্ষ মানুষ নতুন করে দারিদ্রসীমার নীচে পতিত হন। মধ্যবিত্ত, সীমিত ও নিন্ম আয়ের মানুষের খাদ্য বাজেট কমাতে হয়, শিক্ষা ও চিকিৎসা খাতে ব্যয় কাটছাঁট করতে হয়, নারী ও শিশুর চিকিৎসা আরও সংকুচিত হয়, ঋণ বাড়ে, প্রতিদিনের জীবন কঠিনতর হয়।
সমাবেশে যুব ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ ভোট ও ভাতের অধিকার লড়াইয়ে যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়েছে।
১৫ নভেম্বর, সোমবার, বিকাল ৪টায় পল্টন মোড়ে সংগঠনের সভাপতি হাফিজ আদনান রিয়াদের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খান আসাদুজ্জামান মাসুম, প্রেসিডিয়াম সদস্য ত্রিদিব সাহা, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল, যুব ইউনিয়নের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি চৌধুরী জোসেন। সমাবেশ পরিচালনা করেন সংগঠনের সহকারী সাধারণ সম্পাদক হাবীব ইমন।
সমাবেশ শেষে গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত একটি মিছিল প্রদক্ষিণ করে।