Home কৃষি দৌলতপুরে পাটের ফলন ভাল হলেও ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় হতাশ কৃষকরা :...

দৌলতপুরে পাটের ফলন ভাল হলেও ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় হতাশ কৃষকরা : মৃল্য বৃদ্ধির দাবী

37

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি : পাটজাত পণ্যের নানাবিধ ব্যবহারের জন্য সরকারের রয়েছে নানামুখী পদক্ষেপ। অথচ যাঁদের পরিশ্রম ও ঘামের ফসল পাট সেই কৃষকরা রয়েছেন পাটের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত। কৃষকের অন্যতম অর্থকরী ফসল সোনালী আঁশ বা পাট। আর এ পাটের জন্য কুষ্টিয়ার খ্যাতি রয়েছে। তবে উৎপাদন খরচসহ সবধরণের খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় পাটের মূল্য বৃদ্ধির দাবী কৃষকদের। এখন পদ্মা নদীর তীরসহ বিভিন্ন জলাশয়ে পাটপচন ও তা শুকিয়ে ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। আবার অনেকে শুকনো পাট বিক্রয় করে পারিবারিক চাহিদা মিটাতেও ব্যস্ত রয়েছেন।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পদ্মা নদীতে সারিবদ্ধ দীর্ঘ পাটের জাগ দেখেই মনে হবে পদ্মাপাড়ের কৃষকরা এখন পাট পচন ও তা ধৌত করে শুকিয়ে ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কুষ্টিয়ায় চলতি মৌসুমে ৩৭ হাজার ৭৪২ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। এরমধ্যে দৌলতপুরেই চাষ হয়েছে অর্ধেকেরও বেশী জমিতে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকার ফলে পাটচাষ ভাল হওয়ায় ফলনও ভাল হচ্ছে। তাই পাটের সুদিন ফেরায় সোনালী আঁশ খ্যাত পাট চাষের দিকে জোর দিয়েছেন কুষ্টিয়ার কৃষকরা। তবে পাটচাষের উৎপাদন খরচ, সার, বীজ ও শ্রমমূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় পাটের বর্তমান বাজার দর নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা। প্রতিবিঘা জমিতে পাটচাষে কৃষকদের খরচ হয়েছে ১০থেকে ১২হাজার টাকা। তাতেকরে বর্তমান পাটের বাজারদর নিয়ে কৃষকদের মধ্যে রয়েছে অসন্তুষ্টি। তাদের দাবী প্রতিমন পাটের মূল্য ৩ হাজার টাকা থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হোক। দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ভাগজোত এলাকার সফল কৃষক বকুল হোসেন জানান, এবছর পদ্মার চরে পাট চাষ করে তাতে ফলন ভাল হয়েছে। পদ্মা নদীতে পাট পচন করে পাটের রংও ভাল হয়েছে। তবে বর্তমান পাটের বাজার দর নিয়ে রয়েছে তার অসন্তোষ্টি। তার দাবী পাটের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা হোক। এমনই দাবী জানিয়েছেন পদ্মাচরের অপর কৃষক সোহেল আহমেদ।
পাটের উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষকদের প্রশিক্ষণসহ নতুন জাতের বীজ, সার ও প্রণোদনা প্রদান এবং প্রযুক্তির ব্যবহার ও প্রয়োজনীয় পরমার্শ দেওয়ায় পাটের ফলন ভাল হয়েছে বলে জানিয়েছেন দৌলতপুর কৃষি কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম।
বিগত বছরগুলো সোনালী আঁশ পাট ছিল কৃষকের গলার কাটা। পাটের সুদিন ফেরায় গত কয়েক বছর ধরে কৃষকরা পাটচাষে আগ্রহী হয়েছেন। এখন প্রয়োজন পাটের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা। তবেই কৃষকরা পাটচাষে আগ্রহী হবে।