Home জাতীয় সড়ক দুর্ঘটনার বিরুদ্ধে জাতীয় জাগরণ সৃষ্টির আহ্বান ১২ সংগঠনের

সড়ক দুর্ঘটনার বিরুদ্ধে জাতীয় জাগরণ সৃষ্টির আহ্বান ১২ সংগঠনের

27

ডেস্ক রিপোর্টঃ সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির সংখ্যা অতীতের চেয়ে অনেক বেড়ে যাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পরিবেশ ও নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ বিষয়ক ১২টি বেসরকারি সংগঠন। আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে লাগামহীন সড়ক দুর্ঘটনা ও মৃত্যু ঠেকাতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ সকল মহলকে সোচ্চার হওয়ার তাগিদ দিয়েছে সংগঠনগুলো। সড়ক দুর্ঘটনাবিরোধী জাতীয় জাগরণ সৃষ্টির জন্য সকল সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী ও ছাত্র সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সংগঠনগুলোর নেতারা।

দুর্ঘটনার জন্য কোনো পক্ষ এককভাবে দায়ী নয় উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, দুর্ঘটনার কয়েকটি প্রধান কারণ হলো- দুর্বল সড়ক ব্যবস্থাপনা, আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাব, বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি, এক শ্রেণির পরিবহন মালিকের অতিরিক্ত অর্থলিপ্সা, চালকসহ শ্রমিকদের বেপরোয়া মনোভাব, দূরপাল্লার সড়কে ক্ষুদ্রযানের সংখ্যা জ্যামিতিকহারে বৃদ্ধি, লাইসেন্সবিহীন চালক কর্তৃক সারা দেশে লাখ লাখ মোটরসাইকেল চলাচল, দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়কের বেহাল দশা, মহাসড়ক ও আন্ত:জেলা সড়কে অসংখ্য ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক এবং সাধারণ মানুষের সচেতনতার অভাব। এছাড়া অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন চালক এবং ত্রুটিপূর্ণ যানবাহনও দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

দুর্ঘটনাবিরোধী জাতীয় জাগরণ সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করে সামাজিক আন্দোলনের নেতারা বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি সহনীয় মাত্রায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে ইতোপূর্বে বিভিন্ন ঘটনায় দফায় দফায় আন্দোলন এবং প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট কিছু নির্দেশনা সত্ত্বেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। তাই দুর্ঘটনা রোধে সড়ক ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার এবং আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী ও ছাত্র সংগঠনসহ সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষকে সোচ্চার হয়ে জাতীয় জাগরণ সৃষ্টির আহ্বান জানান তাঁরা।

বিবৃতিদাতারা হলেন- নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সভাপতি হাজী মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে, গ্রিন ক্লাব অব বাংলাদেশের (জিসিবি) সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুর রহমান সেলিম, নিরাপদ নৌপথ বাস্তবায়ন আন্দোলনের সদস্য সচিব আমিনুর রসুল বাবুল, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, মিডিয়া ফোরাম ফর হিউম্যান রাইটস এ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডেভেলপমেন্টের (মেড) নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম সবুজ, মানবাধিকার উন্নয়ন কেন্দ্রের মহাসচিব মাহবুল হক, বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার হায়াৎ, জনলোকের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী রফিকুল ইসলাম সুজন, যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দীন চৌধুরী, আলোকিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি বাপ্পিদেব বর্মণ, প্রভারটি ইমুলিনেশন এ্যাস্ট্যিান্স সেন্টার ফর এভরিহোয়্যারের (পিস) নির্বাহী পরিচালক ইফমা হুসেইন ও দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থার সমন্বয়ক গোলাম মোস্তফা।