Home জাতীয় দেশের সব মানুষের কাছে পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও সুদৃশ্য ইলিশ পৌঁছানো সরকারের লক্ষ্য:...

দেশের সব মানুষের কাছে পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও সুদৃশ্য ইলিশ পৌঁছানো সরকারের লক্ষ্য: মৎস্য ও প্রাণি সম্পদমন্ত্রী

24

১-৭ এপ্রিল পর্যন্ত ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ’

স্টাফ রিপোটার: দেশের সব মানুষের কাছে পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও সুদৃশ্য ইলিশ পৌঁছানো সরকারের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণি সম্পদমন্ত্রী শম রেজাউল করিম।
আজ রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০২৩ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী একথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, অন্যান্য বছরের ধারাবাহিকতায় এবার ১ এপ্রিল থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ’ পালন করা হবে।এবছর জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের প্রতিপাদ্য ‘করলে জাটকা সংরক্ষণ, বাড়বে ইলিশের উৎপাদন’।দেশের ইলিশ সমৃদ্ধ ২০জেলায় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদ্যাপন করা হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, ১এপ্রিল পিরোজপুরের হুলারহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদ্বোধন করা হবে।
ইলিশ সম্পদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের নানা কার্যক্রম তুলে ধরে এসময় মন্ত্রী বলেন, ইলিশের বিজ্ঞান ভিত্তিক প্রজনন সময় বিবেচনা করে মা ইলিশ আহরণের নিষিদ্ধ সময় ২২ দিন নির্ধারণ, জাটকা নিরাপদে বৃদ্ধির জন্য ১নভেম্বর হতে ৩০ জুন পর্যন্ত সারাদেশে ৮মাস জাটকা ধরা, পরিবহণ, মজুত, ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করা, দেশের ইলিশ সমৃদ্ধনদ-নদীতে ৬টি ইলিশ অভয়াশ্রম স্থাপন ও নির্দিষ্ট সময়ে এ অভয়াশ্রমে ইলিশসহ সবধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা, নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের প্রতি বছর ভিজিএফ খাদ্য সহায়তা প্রদান, জাটকা আহরণে বিরত অতি দরিদ্র জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প বাস্তবায়ন, ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প বাস্তবায়নসহ সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।ফলে ২০০৮-০৯ অর্থবছরে যেখানে ইলিশের উৎপাদন ছিল ২লাখ ৯৮ হাজার মেট্রিক টন, ২০২১-২২ অর্থ বছরে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৫লাখ ৬৭ হাজার মেট্রিকটনে পৌঁছেছে।তিনি বলেন, জাটকা ও মা ইলিশ সংরক্ষণ করতে পারলে ইলিশের উৎপাদন আরো অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে এমন জাল যেমন বেহুন্দি জাল, কারেন্ট জালসহ অন্যান্য অবৈধ জাল যাতে কেউ ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য সরকার এগুলো নিষিদ্ধ করেছে।যারা জাটকা নিধনের চেষ্টা করবে, মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।পাশাপাশি যে অঞ্চলে জাটকা ধরা হবে সেঅঞ্চলে বরফ কল বন্ধ রাখা হবে।বাজারে ও মোবাইল কোর্ট থাকবে।এছাড়া জাটকা পরিবহণ ও বিপণনে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
মাছ ধরা নিষিদ্ধ সময়ে সরকার জেলেদের জন্য ভিজিএফ খাদ্য সহায়তা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২০ জেলার ৯৭ উপজেলায় জাটকা আহরণে বিরত ৩লাখ ৬০হাজার ৮৬৯টি জেলে পরিবারকে মাসিক ৪০কেজি হারে ৪মাসে ৫৭ হাজার ৭৩৯মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বিতরণ চলমান রয়েছে।
মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, অতিরিক্ত সচিব মোঃ আব্দুল কাইয়ূম, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান কাজী আশরাফ উদ্দীন, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক এবং মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনের আগে মন্ত্রী ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২২ এর মূল্যায়ন ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন।