Home কৃষি দারিদ্রতা কমাতে কৃষিই সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে পারে–কৃষি মন্ত্রী

দারিদ্রতা কমাতে কৃষিই সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে পারে–কৃষি মন্ত্রী

47

আবুল বাশার মিরাজ, বাকৃবি প্রতিনিধি: সব ধরণের গবেষণায় প্রমাণিত যে দারিদ্রতা কমাতে কৃষিই সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে পারে। একসময় প্রতিকূল পরিবেশে উপযোজনকে প্রাধান্য দিয়ে কৃষি গবেষণা করা হতো। যার ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষি বিরাট সাফল্য অর্জন করেছে। কিন্তু বর্তমানে কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো এবং জৈবপ্রযুক্তি প্রযুক্তিতে আরো উৎকর্ষতা আনা প্রয়োজন। কৃষি ক্ষেত্রে প্রয়োগমূলক শিক্ষার উপর প্রাধান্য দিতে হবে বলেও মনে করেন তিনি। কৃষিবিদদেরকে কৃষিতে বর্তমান সময়ের চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।

কৃষিবিদ দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত ভার্চুয়ালি আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন কৃষি মন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।। গতকাল (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে জুম প্লাটফর্মে বাকৃবি অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সহযোগীতায় ওই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসানের সভাপতিত্বে এবং রেজিস্ট্রার ছাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন কৃষি মন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। সম্মানিত অতিথি হিসেবে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চেয়ারম্যান জনাব সাজ্জাদুল হাসান, কৃষি মন্ত্রণায়ের সচিব মো সায়েদুল ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রেজিস্টার নজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. বেনজির আলম, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এ এফ এম হায়াতুল্লাহ, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা ও মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই, শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন এবং কৃষি নিয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাবনার উপর প্রামাণ্যচিত্র তুলে ধরেন ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. জাকির হোসেন।

সাজ্জাদুল হাসান বলেন, কৃষিবিদরা সকল সেক্টরে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কৃষিবিদদের একুশে পদকপ্রাপ্তি তারই সাক্ষ্য বহন করে। কৃষিবিদরা সুসংগঠিতভাবে কাজ করে কৃষি অর্থনীতিকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে।

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ১৯৭৩ সালের ১৩ই ফেব্রুয়াী বাকৃবি চত্ত্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষিবিদদেরকে প্রথম শ্রেণির পদমর্যাদা দেয়ার ঘোষণা দেন। যার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ কৃষি খাতে অনেক সাফল্য অর্জন করেছে। এই চলমান সাফল্য ধরে রাখতে হবে। ভবিষ্যতে কৃষিবিদরা যুগোপযোগী বিষয় নিয়ে কাজ করবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।