Home জাতীয় দক্ষিনাঞ্চলের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নজর রয়েছে–পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী

দক্ষিনাঞ্চলের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নজর রয়েছে–পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী

46

বরিশাল অফিস: পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন; বরিশালে ফ্লাইট চালু হওয়ার পরে যাত্রী না থাকায় তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপট ভিন্ন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনৈতিকভাবে আমরা সাবলম্বি হয়েছি। দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন বেগবান হচ্ছে। পায়রা বন্দরসহ দক্ষিনাঞ্চলে অনেক উন্নয়ন হয়েছে,এখন বিভিন্ন ধরনের মানুষের আসা যাওয়া বেড়েছে। এখন যে সকল এয়ারলাইন্স ফ্লাইট পরিচালনা করছে তারা ফুল লোডেড হয়ে যাওয়া-আসা করছে।দক্ষিনাঞ্চলের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নজর রয়েছে।

আজ(শনিবার) বরিশাল বিমানবন্দর ও বিমানবন্দর সংলগ্ন সুগন্ধা নদীর ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী জাহিদ বলেন, বরিশাল বিমানবন্দরের উন্নয়ন কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সেই সাথে মিডিয়ার ভাইরা লক্ষ্য রাখবেন যাতে এখানকার কাজে কোন দূর্নিতী না হয় এবং কাজের মান ভালো হয়। বরিশাল বিমানবন্দর দেশে আঅভ্যন্তরীণ যতগুলো বিমানবন্দর রয়েছে তার মধ্যে সবথেকে ভালো হবে।
নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে জাহিদ ফারুক বলেন, গত বছরগুলোতে আমরা দেখেছি ভাঙ্গনের প্রবণতা খুব বেশি। এটা মাথায় রেখে এ মুহুর্তে বরিশাল বিমানবন্দরের রানওয়েকে রক্ষা করা নিয়ে চিন্তিত। আসন্ন বর্ষায় যাতে ভাঙ্গনটা রানওয়ে পর্যন্ত না যায় সেজন্য ইতোমধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এর আগে আমরা ৫শত মিটার জায়গায় জিও ব্যাগ ফেলে রক্ষা করার কাজ করছিলাম। এখন আমরা সেটিকে বাড়িয়ে আরো ৬ শত মিটারসহ মোট ১১ শত মিটার জায়গা রক্ষা করতে চাচ্ছি। প্রকৌশলীরা বলছেন এটা করলে পরে নদীতীর আসন্ন বর্ষায় আর ভাঙ্গবে না। অপরদিকে বড় প্রকল্পের ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি চলমান রয়েছে, সেটা হলে পরে আমরা প্রকল্পটা নিয়ে আগামী (পরবর্তী বছর)বর্ষা মৌসুমের আগে ভাঙ্গনরোধে স্থায়ী কাজ করতে পারবো।

বরিশাল বিমানবন্দর হবে সবথেকে আধুনিক ও যুগোপযোগী— বিমান প্রতিমন্ত্রী

পরিদর্শন কালে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী বলেছেন, বরিশাল বিমানবন্দর হবে সবথেকে আধুনিক ও যুগোপযোগী। আর বাংলাদেশের সবথেকে সুন্দর বিমানবন্দর। এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। আমরা প্রকল্প নিচ্ছি বরিশালের রানওয়ে অনেক বড় হবে এবং টার্মিনাল হবে সবথেকে অত্যাধুনিক। আমি মাননীয় প্রধনানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে অর্থ বরাদ্দের জন্য অনুরোধ জানাবো।

বিমান প্রত্রিমন্ত্রী বলেন; বাংলাদেশের সবগুলো বিমানবন্দরেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এবং নির্দেশনায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। বরিশাল বিমানবন্দরে বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনেক আন্তরিক। ওনার নির্দেশনায় বরিশাল বিমানবন্দরের রানওয়ে ওভার-লে করণ কাজে খুব শীঘ্রই হাত দিচ্ছি। যাতে বিমানের স্মুথ ল্যান্ডিং হয়। একই সাথে বড় বিমান যাতে নামতে পারে সেজন্য রানওয়েকে আরো সাড়ে ৭ শত ফিট বাড়ানোর প্রকল্প আমরা হাতে নিবো। পাশাপাশি এখানে অত্যাধুনিক একটি নুতুন টার্মিনাল করার কাজ খুব দ্রুত হাতে নিবো। সবমিলিয়ে বরিশাল বিমানবন্দর নিয়ে আমাদের একটি মেজর প্রজেক্টর রয়েছে।

দেশের এভিয়েশন সেক্টর নিয়ে বঙ্গবন্ধুর অনেক স্বপ্ন ছিলো। আজ তার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরে সারাদেশের প্রতিটি বিমানবন্দরে আধুনিকতার ছোয়া লেগেছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সর্বাধুনিক করা হচ্ছে। চাঙ্গি, হিদ্রো, জেএফকে বিমানবন্দর দেখে আমরা প্লান করেছি। তাই যুগের থেকেও আধুনিক একটি বিমানবন্দর আমরা হয়তো সেপ্টেম্বর ২০২৩ এ উদ্বোধন করতে পারবো।

মাহবুব আলী আরো বলেন, চট্টগ্রাম ও সিলেট এর বিমানবন্দকের আন্তর্জাতিক করা হয়েছে।আন্তর্জাতিক এবং আভ্যন্তরীন সবকিছুতে উন্নয়নের ছোয়া লেগেছে। আর বরিশাল যেহেতু বড় অবস্থানে রয়েছে, তাই এই বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রুপ দেয়ার জন্য সমস্ত পরিকল্পনাই হাতে নেয়া হবে। এ বিমানবন্দরসহ দেশের প্রতিটি বিমানবন্দরে যাতে বড় বিমানের ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারে সেই ব্যবস্থা নেয়া হবে পর্যায়ক্রমে।
রাত দিন ২৪ ঘন্টা বিমান নামতে-উঠতে পারে সেই লক্ষেও সবগুলো বিমানবন্দরে পর্যায়ক্রমে কাজ করা হচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাংলাদেশের প্রতিটি বিমানবন্দরে যাতে ২৪ ঘন্টা বিমান ওঠানামা করতে পারে সেধরণের ব্যবস্থা নেয়া। আমরা অনেকগুলোতে এ ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। তবে কোভিডের কারনে বিদেশ থেকে স্পেশালাইজড লোক আসতে না পারায় আমরা অনেকগুলো কাজ সমাপ্ত করেও চালু করতে পারিনি। বরিশালেও যাতে ২৪ ঘন্টা ফ্লাইট ওঠানামা করতে পারে সে কাজ একই সাথে করবো।
তিনি বলেন,শেষ ভালো যার সব ভালো তার।বরিশাল বিমানবন্দরের উন্নয়ন যেহেতু শেষে হচ্ছে, তাই অন্যান্য বিমানবন্দরের থেকে আরো আধুনিক এবং যুগের থেকেও আধুনিক বিমানবন্দর বরিশালে হবে।

কোভিড কালিন ঘাটতি একটি শিক্ষাবর্ষেই পুরোটা কাটিয়ে উঠা যাবেনা—– শিক্ষা মন্ত্রী

বরিশাল বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি বলেছেন,কোভিড-১৯ এর ব্যপকতাকালে অনলাইন এবং টেলিভিশনের মাধ্যমে আমরা ৬০-৬৫ ভাগের বেশি শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছাতে পারিনি। আর অ্যাসাইনেমেন্টের মাধ্যমে আমরা ৯৩ ভাগের মতো শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছাতে পেরেছিলাম। কাজেই কিছু ঘাটতি তো আমাদের শিক্ষার্থীদের হয়েছেই। একটি শিক্ষাবর্ষেই হয়তো সেটি পুরোটা কাটিয়ে উঠা যাবেনা।

শিক্ষা মন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি-এমপি, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী-এমপি,সংরক্ষিত আসনের নারী সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তার মিরা-এমপি, সিভিল অ্যাভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমানের, বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তাগণ বিমান বন্দর ও এর পার্শবর্তী ভাঙ্গণকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।