Home রাজনীতি ডোনাল্ড লুর চিঠি নিয়ে জাপা কার্যালয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত

ডোনাল্ড লুর চিঠি নিয়ে জাপা কার্যালয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত

41

স্টাফ রিপোটার : যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সোমবার বিকেল ৩টায় বনানীতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে যান৷ জাপা চেয়ারম্যানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মাসরুর মাওলা ও মনিরুল ইসলাম মিলন তাকে স্বাগত জানান।
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জাপার মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, কো চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাসরুর মাওলা।

পরে গণমাধ্যমকে ব্রিফিংয়ে সময় মো. মুজিবুল হক চুন্নু জানান, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারী মন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশের আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যে যে চিঠি লিখেছেন, সেটি জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের হাতে হস্তান্তর করতে পিটার হাস সোমবার বিকেলে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আসেন।

চুন্নু বলেন, এ চিঠির মূল বক্তব্য হলো যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে ফ্রি, ফেয়ার ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়। সভায় কথাতো অনেক হয়েছে, তবে সেগুলো আনঅফিসিয়াল৷ সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভার সেসব বিষয় নিয়ে বলতে চাই না৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের ডেভেলপমেন্ট পার্টনার৷ ছয় বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি বাণিজ্য তাদের সঙ্গে। শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে তারা চান, বাংলাদেশে একটি ভালো নির্বাচন হোক। তারা চান নির্বাচনে যেন সবগুলো দল আসে৷ ভোটের সময় যেন সুষ্ঠু পরিবেশ থাকে৷

জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে কোনো বার্তা দেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, নির্বাচন কিভাবে হবে, তা কিভাবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে হয়, তা একান্ত আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়৷ নির্বাচনের পরিবেশ কেমন চাই বা জাতীয় পার্টি নির্বাচনে যাবে কী না, তা আমরা মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে কেন বলতে যাবো? সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলছি, আর তাদের সহযোগিতার জন্য সরকারকে অনুরোধ করছি।

জাতীয় পার্টি নির্বাচনে যাবে কি না, আগামী
কাল মঙ্গলবার সকালে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের বৈঠকের পর সে সিদ্ধান্ত হবে৷ জাপা মহাসচিব বলেন, গত দুটি উপনির্বাচনে আমাদের ব্যাড এক্সপেরিয়ান্স হয়েছে৷ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ এবং লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী জিতবেন, এমন আশাও আমরা করিনি৷ সেখানে ব্যালটে সিল মারার কী দরকার ছিলো? জনগণ ভোট দিতে পারবে, এমন পরিবেশ যদি সরকার আন্তরিকতার সঙ্গে তৈরি করতে পারেন, তবে আমরা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে ভাববো।
সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বাম ধারার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল রাজপথে আন্দোলন করছে, হরতাল-অবরোধের কর্মসূচি দিচ্ছে। বিরোধপূর্ণ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সরকারকে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের আহ্বান জানান মো. মুজিবুল হক চুন্নু।

তিনি বলেন, সংবিধান মোতাবেক সংসদীয় গণতান্ত্রিক ধারায় নির্বাচনে যাওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই৷ আমি পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, আপনি দলগুলোকে এক টেবিলে ডাকুন৷ যদি না ডাকেন, তবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার একটা পরিবেশ তৈরি করুন৷ দেখি সেটা হয় কী না!