ডেস্ক রিপোর্ট: অবশেষে জিম্বাবুয়ের সাথে জিততে পারেনি পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে রূদ্ধশ্বাস ম্যাচে পাকিস্তানকে ১ রানে হারালো জিম্বাবুয়ে। এই জয়ে ২ খেলায় ৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয়স্থানে উঠলো জিম্বাবুয়ে। সমানসংখ্যক ম্যাচ খেলেও এখনও জয়ের দেখা পায়নি পাকিস্তান।
প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে ৪ উইকেটে হেরেছে পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টিতে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার পাকিস্তানকে হারালো জিম্বাবুয়ে।
পার্থে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্বান্ত নেয় জিম্বাবুয়ে। ৫ ওভারে ৪২ রানের সূচনা এনে দিয়ে তিন বলের ব্যবধানে বিদায় নেন দুই ওপেনার ওয়েসলি মাধভেরে ও অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন।
১৯ বলে ১৯ রান করা আরভিনকে পেসার হারিস রউফ ও ১৩ বলে ১৭ রান করা মাধভেরেকে আউট করেন মোহাম্মদ ওয়াসিম।
দুই ওপেনারের দারুন শুরু পরবর্তীতে ধরে রাখেন মিডল-অর্ডার ব্যাটার সিন উইলিয়ামস। তার ছোট ইনিংসের সুবাদে ১৩ ওভারেই দলের রান ৯০তে পৌঁছে যায়।
১৪ ও ১৫তম ওভারে দু’টি করে মোট চার উইকেট হারিয়ে বড় স্কোর করার পথে ধাক্কা খায় জিম্বাবুয়ে। ১৪তম ওভারে উইলিয়ামসকে ৩১ ও রেগিস চাকাবভাকে খালি হাতে ফেরান স্পিনার শাদাব খান।
১৫তম ওভারে রাজাকে ৯ রানে ও লুক জংওয়েকে শূন্যতে বিদায় দেন ওয়াসিম। মাঝের ওভারে বড়সড় ধাক্কার পর ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩০ রানের মামুলি স্কোর পায় জিম্বাবুয়ে। শেষদিকে রায়ান বার্ল অপরাজিত ১০ ও ব্র্যাড ইভান্স ১৫ বলে ১৯ রান করেন। বল হাতে পাকিস্তানের ওয়াসিম ২৪ রানে ৪ উইকেট নেন। ২৩ রানে ৩ উইকেট নেন শাদাব।
১৩১ রানের টার্গেটে পাঁচ ওভারের মধ্যে দলের সেরা দুই ব্যাটারকে হারায় পাকিস্তান। অধিনায়ক বাবর আজমকে ৪ রানে থামান ইভান্স। মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ১৪ রানে বিদায় দেন ব্লেসিং মুজারাবানি।
দলীয় ২৩ রানের মধ্যে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর সপ্তম ওভারে তৃতীয় উইকেট হারায় পাকিস্তান। গত ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ৩৪ বলে ৫১ রান করা ইফতেখার এবার করেন ৫ রান।
৩৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া পাকিস্তানকে লড়াইয়ে ফেরান ভারতের বিপক্ষে হাফ-সেঞ্চুরি করা শান মাসুদ ও শাদাব খান। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৩৬ বলে ৫২ রান করেন তারা।
১৪তম ওভারে চতুর্থ ও পঞ্চম বলে দুই উইকেট তুলে নিয়ে জিম্বাবুয়েকে দারুন ব্রেক-থ্রু এনে দেন রাজা। শাদাবকে ১৭ রানে ও হায়দার আলিকে রানের খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নে পাঠান রাজা।
১৬তম ওভারে আবারও পাকিস্তান শিবিরে আঘাত হানেন রাজা। উইকেটে সেট ব্যাটার মাসুদকে ৪৪ রানে থামিয়ে দেন তিনি। ৩৮ বল খেলে ৩টি চার মারেন মাসুদ। ফলে ৯৪ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় পাকিস্তান।
মাসুদ আউট হওয়ার সময় ২৮ বলে ৩৮ রান ধূরে অবস্থান করে পাকিস্তান। সপ্তম উইকেটে ২৮ বলে ৩৪ রান তুলে পাকিস্তানের জয়ের আশা বাঁঁিচয়ে রাখেন নাওয়াজ ও ওয়াসিম।
শেষ ২ ওভারে ২২ রান দরকার পড়ে পাকিস্তানের। ১৯তম ওভারে আসে ১১ রান। এতে শেষ ওভারে ১১ রানে প্রয়োজন পড়ে পাকদের।
ইভান্সের করা শেষ ওভারের প্রথম বলে ৩ রান নেন নাওয়াজ। পরের বলে চার মারেন ওয়াসিম। পরের বলে ১ রান নিয়ে নাওয়াজকে স্ট্রাইক দেন ওয়াসিম। চতুর্থ বলে কোন রান নিতে পারেননি নাওয়াজ। এতে শেষ দুই বলে ৩ রানের প্রয়োজন পড়ে পাকিস্তানের।
পঞ্চম বলে মিড-অফে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন নাওয়াজ। আর শেষ বলে ২ রান নিতে গিয়ে রান আউট হন শাহিন শাহ আফ্রিদি। স্কোর বোর্ডে ১ রান যোগ হয়। ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১২৯ রান করে ম্যাচ হারে পাকিস্তান।
১৮ বলে ২২ রান করেন নাওয়াজ। ১৩ বলে অপরাজিত ১২ রান করেন ওয়াসিম। ২৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন জিম্বাবুয়ের পাকিস্তান বংশোদ্ভুত রাজা।
আগামী ৩০ অক্টোবর নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে পাকিস্তান। একই দিন বাংলাদেশের বিপক্ষে লড়বে জিম্বাবুয়ে।