Home সারাদেশ ঝুকিপূর্ণ ফাইবার বোটে পর্যটকের নৌ-ভ্রমণ

ঝুকিপূর্ণ ফাইবার বোটে পর্যটকের নৌ-ভ্রমণ

46

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি।। না আছে রুট পারমিট, না আছে কোন ধরনের ফিটনেস। এমনকি নেই জীবন রক্ষার জন্য লাইফ জ্যাকেট। তারপরও পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় পর্যটক বোঝাই করে সাগরে চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ফাইবার বোট। এ যেন দেখার কেউ নেই। ইতোমধ্যে ১৬ জন পর্যটক নিয়ে পুরনো একটি ফাইবার বোট ডুবির ঘটনা ঘটে। যদিও সবাই প্রাণে বেচে গেছেন। তারা গাজীপুর থেকে ভ্রমনে এসে গত শনিবার দুপুরে সাগর পথে ফাতড়ার বনাঞ্চল দেখতে গিয়ে এমন দূর্ঘটনার কবলে পরেন বলে জানা গেছে।
এদিকে ট্যুরিস্ট পুলিশসহ কুয়াকাটা বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির নাকের ডগায় জীর্ণদশার এসব ফাইবার বোটে পর্যটক বোঝাই করে সাগরে চলাচল করছে। আর ভ্রমনপিপাসু পর্যটকরা বাধ্য হয়ে এতেচরে ফাতরার বনাঞ্চল সহ ঝুঁকি নিয়ে গভীর সমুদ্রের মাঝখানে জেগে ওঠা চরবিজয় ভ্রমণে যাচ্ছেন।
অভিযোগ রয়েছে, বোট মালিকদের সিন্ডিকেটের। একটার পর একটা সিরিয়াল অনুসারে জীর্ণদশার বোটসহ সকল বোট ছেড়ে যায় বিভিন্ন দর্শনীয় স্পটে। পর্যটকরা ইচ্ছে করলে তাদের পছন্দসই বোটে চলাচল করতে পারছেন না। এমনকি কোন সাইজের বোটে কতজন পর্যটক চলাচল করবেন তা বোট চালক কিংবা মালিকদের কোন নির্দেশনা নেই। ফলে যে যত বেশি পারছে পর্যটক বোঝাই করে ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলাচল করছে। আর লাইফ বয়া কিংবা লাইফ জ্যাকেট কোনটাই নেই অনেক বোটে। ফ্রি-স্টাইল সিস্টেমে পর্যটকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে এসব বোটে চলাচলে বাধ্য করা হচ্ছে।
পর্যটকরা জানান, সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা, সৈকতের সঠিক রক্ষণাবেক্ষন, আবাসন ও হোটেল উন্নয়ন, রাস্তাঘাট সংস্কার ইত্যাদি কার্যক্রমের উদ্যোগ বাস্থবায়িত হলেই ‘সাগরকন্যা’ কুয়াকাটা হবে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের জন্য অন্যতম সম্ভাবনাময় স্থান। তবে পর্যটক বহনকারী প্রতিটি ফাইবার বোটগুলোতে জীবন রÿাকারী লাইফ জ্যাকেট থাকা একান্তই প্রয়োজন বলে তাদের দাবি।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমিতির সভাপতি জনি আলমগীর জানান, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। বোটগুলো যাতে সুষ্ঠু ম্যানেজমেন্ট করা যায় এজন্য একটি তদারকি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এখানে মোট ২৬টি বোট ট্যুরিস্ট নিয়ে বিভিন্ন স্পটে ভ্রমনে যায়। লাইফ জ্যাকেট রাখা এবং ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কুয়াকাটা বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব মো.জাহাঙ্গীর হোসেন সাংবাদিকদের জানান, নিয়ম মাফিক লাইফ বয়া এবং লাইফ জ্যাকেট ছাড়া কেউ বোট পরিচালনা করতে পারবে না। পর্যটকরা যে বোটটি নিরাপদ মনে করবেন ওই বোটে ভ্রমণ করবেন।