Home স্বাস্থ্য জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে সেপ্টেম্বরে টিকা শুরু করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে সেপ্টেম্বরে টিকা শুরু করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

44

স্টাফ রিপোটার: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, নারীদের ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর অন্যতম কারণ জরায়ুমুখ ক্যান্সার। এতে আক্রান্তের হার বিশ্বে ৪র্থ সর্বোচ্চ এবং দেশে ২য় সর্বোচ্চ। জরায়ু ক্যান্সার বিশ্বে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ নারী মারা যান, যার মধ্যে ৯০ ভাগই ঘটে উন্নয়নশীল দেশে।মন্ত্রী আজ ঢাকায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান।

মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে প্রতি লাখ নারীর মধ্যে ১৬ জন জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন এবং ৬ হাজার ৫৮২ জন নারী বছরে মারা যান। জরায়ুমুখ ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী শেষ পর্যায়ে শনাক্ত হন বলে মৃত্যুসংখ্যা বেশি হয়। তবে WHOSAGE এর সর্বশেষ সুপারিশ অনুযায়ী দেশের National Immunization Technical Advisory Group of Experts (NTG) এর সিদ্ধান্ত অনুসারে ১ ডোজ হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকা প্রদান করলে এই ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। এজন্য দেশের ১০-১৪ বছর বয়সী মেয়েদের এই এইচপিভি টিকা দেয়া আগামী সেপ্টেম্বর থেকেই শুরু হবে। এই মুহূর্তে আমাদের হাতে সাড়ে ২৩ লাখ ভ্যাকসিন আছে। এগুলো স্কুল পর্যায়ে থেকে দেয়া হবে। প্রথম পর্যায়ে ঢাকায়, ২য় পর্যায়ে চট্টগ্রাম, বরিশালে দেয়া হবে। এরপর সারা দেশে দেয়া হবে। আগামী নভেম্বর মাসে আরো ২০ লাখ ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে এবং ২০২৪ সালে আরো ৪২ লাখ ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে কলেরা টিকা প্রদান প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, কলেরা রোগের ভ্যাকসিন প্রথম পর্যায়ে ১২ লাখ ডোজ, পরবর্তী পর্যায়ে ২৪ লাখ লোককে ২ ডোজ করে ৪৮ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে।
ডেঙ্গু প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি বাড়তে যাচ্ছে। গত জুলাই মাসে দেশে ৪৫ হাজার জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে, অথচ এই সংখ্যা গত ২০২২ সালে জুলাই মাসে ছিল মাত্র ১৫০০ জন। এ বছর এ পর্যন্ত ৩১৩ জন মানুষ ডেঙ্গুতে মারা গেছে। আক্রান্তও বাড়ছে। আমরা ঢাকায় ৩ হাজার টি ডেঙ্গু বেড প্রস্তুত রেখেছিলাম। তার মধ্যে প্রায় ২ হাজার ১০০ রোগী ভর্তি হয়ে গেছে। প্রায় ৮০০ বেড খালি থাকলেও ঠিকভাবে মশা কমানো না গেলে ভবিষ্যতে আমাদেরকে আরো বেড প্রস্তুত রাখতে হবে।

সম্মেলনে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোঃ টিটো মিঞা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন।