Home রাজনীতি জনগণ সরকারকে বিদায়ের বার্তা দিয়েছে: রিজভী

জনগণ সরকারকে বিদায়ের বার্তা দিয়েছে: রিজভী

15

স্টাফ রিপোটার: ভোট কেন্দ্রে না গিয়ে জনগণ সরকারকে বিদায়ের বার্তা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন,’অবৈধ সরকারের ডামি নির্বাচন আন্তর্জাতিক বিশ্ব প্রত্যাখ্যান করেছে।ভোট কেন্দ্রে না গিয়ে জনগণও সরকারকে বিদায়ের বার্তা দিয়েছে।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলা মহিলা দলের উদ্যোগে ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায়’ এক দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি।

কারাগারে বিএনপির নেতাকর্মীদের মৃত্যুর কথা উল্লেখ করে রিজভী বলেন, গত কয়েক দিনে কারাগারে ১০ জনের অধিক বিএনপির নেতাকর্মী মারা গেছেন। কারাগারে তারা চিকিৎসা পাচ্ছেন না। তাদের হাত ও পায়ে ডাণ্ডাবেড়ি পড়িয়ে কারাগারের ভিতরের হাসপাতালে ফেলে রাখা হয়েছে।

দ্বাতশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে রুহুল কবির রিজভী বলেন, এই নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রধান নেতা জি এম কাদের কত কথা বললেন। এই সরকারের অধিনে নির্বাচন করা যাবে না। তারা গতবার রাত্রি বেলায় নির্বাচন করেছেন। কত কথা বললেন। তারপরে শুধুমাত্র নিজের স্ত্রীর জন্য গোটা দলকে বিক্রি করে দিলেন! সেটা তার দলের লোকেরা প্রতিদিন স্লোগান দিচ্ছেন।

আওয়ামী লীগ পরশুদিন যা বলবে আজকে তার উল্টো মন্তব্য করে তিনি বলেন, এখনো অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী কি চিৎকার করে বলছেন যে, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। অমুক দেশ এটা পছন্দ না করলেও তারা আমাকে এই করতে চায়, সেই করতে চায়। আর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলছেন, এখনো ষড়যন্ত্র হচ্ছে। প্রতিনিয়তই তিনি ষড়যন্ত্রে তত্ত্ব আবিষ্কার করছেন।

‘কিন্তু ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনিও ছাত্র নেতা ছিলেন। আপনার নেত্রী বলছিলেন, এরশাদের অধিনে নির্বাচন করলে তারা বেইমান হবেন। কিন্তু ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আপনার নেত্রী গেলেন! তাহলে দেশের তরুণ সমাজ আওয়ামী লীগ করবে কেনো? যারা ব্যক্তিগত স্বার্থে দল (জাতীয় পার্টি) বিক্রি করে দেয়, আর যদি আওয়ামী লীগ করতে হয় তাহলে নিজেকে আগে মুনাফিক হতে হবে। যে মুনাফিক হতে পারে সেই আওয়ামী লীগ করবে। আর মিথ্যাবাদী হলে সে আওয়ামী লীগ করতে পারে।’

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার (ফলকার টুর্ক) যে বিবৃতি দিয়েছেন। আর আমাদের আইনমন্ত্রী (আনিসুল হক) একেবারে প্রধানমন্ত্রীর একজন খাস মোসাহেব। আর প্রতিদিন বিএনপি কত নির্যাতিত হচ্ছেন, এটা না শুনে তিনি ঘুমাতে যান না। সেই আনিসুল হক সাহেব বলছেন, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের বিবৃতিতে তথ্যের ঘাটতি আছে। এখানে বিচার ও আদালত নিজ গতিতে চলে। আইনমন্ত্রী সাহেব? এই যে বললাম, উনি মিথ্যা কথা বলতে পারেন বলেই তো আওয়ামী লীগের মন্ত্রী। তিনি সত্য কথা বললে তো আর আওয়ামী লীগ করতে না। আর সরকারের সঙ্গে কিছু বিষয়ে দ্বিমত থাকার কারণে দেশের প্রধান বিচারপতি নিজের জীবন নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। এরপরও আইনমন্ত্রী সাহেব বলবেন, আইন ও বিচার ঠিক মত চলে?

দেশে দানবদের শাসন চলছে মন্তব্য করে তিনি বলেন,কেউ এখন সত্য কথা বলতে সাহস পায় না যদি কেউ বলে হয় তাকে গুম হতে হয় না হয় তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।গত ১৫টি বছর সরকার বিরোধী মতকে এভাবেই দমন করে চলছে। টাকা পাচারকারীদেরকে রক্ষা করার জন্যই সরকার বিরোধীদলকে দমন করে রাখতে চায়।সরকারের অন্যায়,অবিচার এবং টাকা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কেউ যাতে কথা বলতে না পারে সেই কারণেই তারা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদেরকে সারাদেশে নিপীড়ন নির্যাতন করছে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব আরও বলেন,’এই পরিস্থিতি চলতে পারেনা।এই নিপীড়ন নির্যাতন চলতে পারেনা।অতীতেও বাংলাদেশে অনেক স্বৈরাচার ভেসে গেছে এই অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও পদ্মা মেঘনা যমুনার স্রোত ধারায় ভেসে যাবে।

বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা দেয়ার যে মানবিক অধিকার সেটা আজকে কেড়ে নেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন রুহুল কবির রিজভী।

মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিলে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মহিলা দলের আহ্বায়ক রুমা আক্তার, সদস্য সচিব নাসিমা আক্তার কেয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।