Home বাণিজ্য ও অর্থনীতি চামড়া সুষ্ঠুভাবে সংগ্রহ ও সংরক্ষণের লক্ষ্যে দেশব্যাপী নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে হবে: শিল্পমন্ত্রী

চামড়া সুষ্ঠুভাবে সংগ্রহ ও সংরক্ষণের লক্ষ্যে দেশব্যাপী নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে হবে: শিল্পমন্ত্রী

76

স্টাফ রিপোটার: শিল্প মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এমপি বলেছেন যেচামড়া শিল্পের উন্নয়নে চামড়া সুষ্ঠুভাবে সংগ্রহ ও সংরক্ষণের লক্ষ্যে দেশব্যাপী শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে হবে।
আজ রাজধানীতে ‘Potentials and Challenges of Leather Sector in Bangladesh: Points to Ponder’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি একথা বলেন।
একই সঙ্গে শিল্পমন্ত্রী চামড়া ও চামড়া জাত শিল্পের উন্নয়নের লক্ষ্যে এই খাতে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলবার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)-এর সাপোর্টটু সাস্টেইনেবল গ্র্যাজুয়েশন প্রকল্প (এসএসজিপি) এ কর্মশালার আয়োজন করে।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য জনাব আবদুল বাকী এবং মেট্রোপলিটান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি-এর প্রেসিডেন্ট জনাব মোঃ সাইফুল ইসলাম।কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ইআরডি সচিব মিজ শরিফা খান।
চামড়া ও চামড়াজাত শিল্প বাংলাদেশের শিল্প ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও সম্ভাবনাময় খাত। গত অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে তৈরি পোশাক খাতের পরই এ খাতের অবদান ছিল সর্বোচ্চ। চামড়া ও চামড়াজাত শিল্পের অপরিসীম সম্ভাবনা অনুধাবন করে সরকার এটিকে একটি অন্যতম শীর্ষ অগ্রাধিকার খাত হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
এখানে উল্লেখ্য যে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাজারে শুল্কমুক্তকোটামুক্ত সুবিধা পেয়ে থাকে। এছাড়া স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশের চামড়া ও চামড়াজাত শিল্প সরকার হতে নগদ ভর্তুকি সুবিধা পেয়ে আসছে। কিন্তু স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণের পর এ ধরনের সুবিধাসমূহ অব্যাহত রাখা সম্ভব নাও হতেপারে।
এমতাবস্থায়, স্থানীয় চামড়া ও চামড়াজাত শিল্পের সমস্যা ও সম্ভাবনাসমূহ চিহ্নিতকরণ এবং উত্তরণ পরবর্তী পরিস্থিতির জন্য দেশের চামড়া ও চামড়াজাত শিল্পকে প্রয়োজনীয়রূপে প্রস্তুত করার লক্ষ্যে কি ধরনের নীতি পদ্ধতি অনুসরণ করা প্রয়োজন তা পর্যালোচনার লক্ষ্যেউক্ত কর্মশালা আয়োজন করা হয়।
ইআরডি সচিব মিজ শরিফা খান তাঁর বক্তৃতায় স্বল্পোন্নতদেশ হতে উত্তরণের প্রেক্ষাপটে চামড়া ও চামড়াজাত শিল্পকে প্রস্তুত করার জন্য প্রয়োজনীয় নীতি পদ্ধতি প্রণয়নের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য জনাব আবদুল বাকী তাঁর বক্তৃতায় চামড়া শিল্পের উন্নয়নের লক্ষ্যে বাণিজ্যসহ জীকরণের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
মেট্রোপলিটান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি-এর প্রেসিডেন্ট জনাব মোঃ সাইফুল ইসলাম তাঁর বক্তৃতায় উল্লেখ করেন যে দেশের তৈরি পোশাক শিল্প ও চামড়া জাত শিল্পের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে উভয় খাতই লাভবান হতে পারে।
কর্মশালার বিষয় বস্তুর উপর মূলউপস্থাপনা প্রদান করেন চামড়া ও চামড়াজাত শিল্পের অন্যতম বিশেষজ্ঞ জনাব রবিউল ইসলাম রবি।

কর্মশালায় প্যানেলিস্ট হিসেবে বক্তব্য৷ রাখেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনাব মোঃ শামিমুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি- এর পরিচালক ডঃ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস এন্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মোঃ জয়নাল আবেদিন এবং বাংলাদেশ ট্যানার্স এসোসিয়েশন-এর সাধারণ সম্পাদক জনাব মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহ।