ডেস্ক রিপোর্ট: গ্রিসে ইতিহাসে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এতে আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১ মার্চ) মধ্যরাতের আগে দেশটির লারিসা শহরের কাছে যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়।
গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোটাকিস এ দুর্ঘটনার জন্য মানবিক ত্রুটিকে দায়ী করেছেন। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করেছেন দেশটির অবকাঠামো ও পরিবহনমন্ত্রী কোস্টাস কারামানলিস।
জানা গেছে, প্রায় ৩০০ জন যাত্রী নিয়ে যাওয়ার পথে একটি ট্রেনের সঙ্গে মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। এতে যাত্রীবাহী ট্রেনটির প্রথম দুটি বগিতে আগুন ধরে যায়। এতে পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে বাগি দুটি।
এদিকে, গ্রিসের সাম্প্রতিক ইতিহাসে এটিকে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা বলে বর্ণনা করা হচ্ছে।
ট্রেন থেকে লাফিয়ে পড়ে জীবন বাঁচিয়েছেন ২৮ বছর বয়সী স্টারজিওস মিনেনিস। তিনি ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলছিলেন, ‘আমরা একটা বিকট শব্দ শুনতে পাই। ট্রেনের কামরার মধ্যে আমরা গড়াগড়ি খাচ্ছিলাম। তারপর এটি (বগি) গড়িয়ে একদিকে থামলো। তারপর সবার মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হলো। চারিদিকে তার ঝুলছে, আগুন। সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে গিয়েছিল। আমরা আগুনে পুড়ে যাচ্ছিলাম।’

স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের জন্য তদন্ত শুরু হয়েছে। কোন প্রাথমিক ধারণা এখনো পাওয়া যাচ্ছে না। দেড়শোর বেশি দমকলকর্মী এবং ৩০টি অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনাস্থলে কাজ করে।

গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিটসোটাকিস দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এরকম দুর্ঘটনা কীভাবে ঘটলো, তা খুঁজে বের করা এবং এমন যাতে আর না ঘটে তার ব্যবস্থা নেয়ার অঙ্গীকার করেছেন তিনি।
ইত্তেফাক