Home রাজনীতি গণশুনানি ছাড়া দাম বৃদ্ধি মানেই লুটপাটের মহোৎসব : ববি হাজ্জাজ

গণশুনানি ছাড়া দাম বৃদ্ধি মানেই লুটপাটের মহোৎসব : ববি হাজ্জাজ

44

স্টাফ রিপোটার: জাতীয়তবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেছেন, মধ্যরাতে এক কাগুজে বিবৃতি প্রদানের মাধ্যমে প্রাথমিক জ্বালানির মত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে মুল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়ে জনগণের সাথে আরেকদফা প্রতারণা করলো আওয়ামী লীগ সরকার। গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি এবং জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি বা মূল্য সমন্বয় করতে স্বার্থসংশ্লিষ্ট সবার মতামত প্রয়োজন। গণশুনানি ছাড়া দাম বৃদ্ধি মানেই লুটপাটের মহোৎসব।

রবিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এনডিএম আয়োজিত জ্বালানি তেলের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবীতে প্রতিবাদী অবস্থান এবং গণস্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচিতে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ববি হাজ্জাজ বলেন, সরকার গত ৩ বছরে ক্যাপাসিটি চার্জ প্রদান বাবদ রেন্টাল এবং কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্টের মালিকদের প্রায় ৫৪ হাজার কোটি টাকা প্রদান না করে এই অর্থ জ্বালানি খাতের সংষ্কার, অনুসন্ধান এবং ভোক্তা পর্যায়ে ভর্তুকি প্রদান খাতে ব্যয় করলে আজ সাধারণ মানুষের চোখেমুখে আতংক থাকত না। বিদেশী মুদ্রার রিজার্ভ ঘাটতি এবং মেগা প্রজেক্টের ঋণের ভারে ধুঁকতে থাকা অর্থনীতিকে বাঁচাতে আইএমএফ থেকে ঋণ পাবার পূর্বশর্ত মোতাবেক জ্বালানি খাতে ভর্তুকি কমানোর সিদ্ধান্ত সরকারের জন্য আত্মঘাতী বলে আমরা মনে করি।

তিনি বলেন, ২০১৫-২০২১ পর্যন্ত সাত বছরে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন প্রায় ৪৭০ বিলিয়ন টাকা লাভ করেছে বলে আমরা গণমাধ্যম সূত্রে জেনেছি। তাহলে শুধু ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে এই বছর জ্বালানি তেলের দাম কেন বাড়াতে হবে? অথচ বিশ্ববাজারে এই মুহুর্তে তেলের দাম সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সর্বনিম্ন। আমরা অবিলম্বে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির এই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবী জানাচ্ছি।

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব এডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম, জাগপার মহাসচিব অধ্যাপক ইকবাল হোসেন প্রমুখ।

কর্মসূচির শুরুতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন এনডিএম এর যুগ্ম মহাসচিব মোমিনুল আমিন। সঞ্চালনায় ছিলেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন নুরুজ্জামান হীরা। উক্ত কর্মসূচি থেকে জ্বালানি তেলের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবীতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয় এবং কর্মসূচি শেষে একটি প্রতিবাদী মিছিল বের হয়।