Home রাজনীতি ক্ষমতায় থেকে ক্ষমতা না ছাড়তে চাওয়াই রাজনৈতিক অপসংস্কৃতি–জি এম কাদের

ক্ষমতায় থেকে ক্ষমতা না ছাড়তে চাওয়াই রাজনৈতিক অপসংস্কৃতি–জি এম কাদের

38

মাহাবুবুর রহমান: জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, ক্ষমতায় থেকে ক্ষমতা না ছাড়তে চাওয়াই রাজনৈতিক অপসংস্কৃতি। এই অপচেষ্টা হচ্ছে রাজনৈতিক বিকৃতি। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রবেশদ্বার। সুষ্ঠু নির্বাচন হলেই গণতন্ত্রের চর্চা সম্ভব। নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে সংবিধানের আলোকে নির্বাচন কমিশন আইন করতে হবে। নির্বাচন কমিশন গঠন করতে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলোর উপদেষ্টা লেভেলের নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য লোক নিয়োগ দিয়ে তাদের হাতে সংবিধান অনুযায়ী ক্ষমতা দিতে হবে। নির্বাচনকালীন সময়ে দেশের নির্বাহী বিভাগ সম্পূর্ণভাবেই নির্বাচন কমিশনের অধিনে কাজ করবে। পাশ^বর্তী দেশগুলোতেও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পারছেন।

আজ দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে বাংলাদেশ ন্যাশনালিষ্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) এর সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার ইকবাল জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এর হাতে ফুল দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন।

এসময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, কয়েকটি দল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার দাবি জানাচ্ছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নির্বাচনের জন্য খন্ডকালীন সমাধান, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা স্থায়ী সমাধান নয়। কারন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার তিন মাস পর বিলুপ্ত হলে, পরবর্তী উপ-নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সরকার প্রভাব বিস্তার করতে পারে। আইন করে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন না হওয়ায় নির্বাচন কমিশন সঠিকভাবে কাজ করছেনা বা সঠিকভাবে কাজ করতে পারছে না। তাই, জনগণের ইচ্ছে অনুযায়ী প্রতিনিধি নির্বাচিত হচ্ছে না। নির্বাচনে গণমানুষের প্রত্যাশা প্রতিফলিত হচ্ছে না। এ কারনেই, নির্বাচন কমিশনের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা এখন শুন্যের কোঠায়।

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এসময় আরো বলেন, দেশের মানুষ ১৯৯১ সালের পর থেকে অচল মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ দেখছে। দেশের মানুষ পরিবর্তন দেখতে উন্মুখ হয়ে আছে। সাধারণ মানুষের বিচার বিশ্লেষণে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির তুলনায় জাতীয় পার্টির রাষ্ট্র পরিচালনায় দেশের মানুষ বেশি সুশাসন ভোগ করেছে। তাই, দেশের মানুষ জাতীয় পার্টির দিকে এব বুক প্রত্যাশা নিয়ে তাকিয়ে আছে। দেশের মানুষ আবারো জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্র পরিচালনায় দেখতে চায়।

উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, লেঃ জেঃ (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এমপি, ভাইস চেয়ারম্যান নিগার সুলতানা রানী, শফিউল্লাহ শফি, মৌলভী ইলিয়াস, আহমেদ শফি রুবেল, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল হক নুরু, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ হেলাল উদ্দিন, এনাম জয়নাল আবেদিন, আনোয়ার হোসেন তোতা, সৈয়দ ইফতেকার আহসান হাসান, মাখন সরকার, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য এমএ রাজ্জাক খান, আহাদ ইউ চৌধুরী শাহীন, গোলাম মোস্তফা, মিজানুর রহমান মিরু, জামাল হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক তিতাস মোস্তফা, নুরুল হক নুরু, জাকির হোসেন মৃধা, কেন্দ্রীয় নেতা মনিরুজ্জামান টিটু, সাজ্জাদ পারভেজ, ফারুক আহমেদ, মোঃ আলমগীর হোসেন, সাইফুল ইসলাম শোভন, ইঞ্জিঃ এলাহান উদ্দীন, নজরুল ইসলাম, মোতাহার হোসেন রাশেদ, জাফর আহমেদ রাজু, জাকির হোসেন, তরুণ পার্টির সদস্য সচি মোড়ল জিয়াউর রহমান, ছাত্র সমাজ-এর সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, সহসভাপতি অর্ণব চৌধুরী। যোগদানকারীর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ মোতাহার হোসেন, শহীদুল ইসলাম, ইসমাইল, এমডি রুমি, মোঃ রিফাত, মোঃ রুপক রায়হান, জামাল আব্দুল নাসের, মোঃ আব্দুল মুহিত, সাঈদ আহমেদ।