Home জাতীয় কৃষিবিদদেরকে কেআইবির অবৈধ কমিটির অনুষ্ঠানে না যাওয়ার আহবান

কৃষিবিদদেরকে কেআইবির অবৈধ কমিটির অনুষ্ঠানে না যাওয়ার আহবান

17

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য কৃষিবিদ ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি কৃষিবিদদেরকে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (কেআইবি) কোন অনুষ্ঠানে না যাওয়ার জন্য আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বর্তমান কেআইবির কমিটি অবৈধভাবে ক্ষমতায় রয়েছে। তাদের অনুষ্ঠানে না যাওয়ার জন্য আদালতেরও নিষেধাক্কা রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪) বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বিএআরসি) বাকৃবি অ্যালামনাই আয়োজিত কৃষিবিদ দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এ আহবান জানান।

ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘ঐতিহ্যবাহী পেশাজীবী পরিবার হিসেবে কৃষিবিদ সমাজের আশা ছিল এ ভবন নির্মাণ হওয়ার পর ভবনটি কৃষিবিদ সমাজের পেশাগত উৎকর্ষতা অর্জনে এবং দেশের কৃষি সেক্টরের কল্যাণে ব্যবহৃত হবে। কিন্তু দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য এই যে, একটি মতলববাজ গোষ্ঠি সরকারের সদিচ্ছা, রাষ্ট্রের বিনিয়োগ এবং কৃষিবিদ সমাজের প্রত্যাশাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বছরের পর বছর এ প্রতিষ্ঠানটিকে কুক্ষিগত করে রেখেছে। নামকা ওয়ান্তা কিছু দিবস ভিত্তিক অনুষ্ঠান আয়োজন ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি কৃষি পেশা ও কৃষিবিদ পেশাজীবীদের কল্যানে আর কোন ভূমিকা পালন করছে না। কেআইবি কমপ্লেক্সের মূল পরিচয় হয়ে উঠেছে কমিউনিটি সেন্টার হিসেবে। সাধারণ কৃষিবিদদের মধ্যে এখন এই ধারণা ও প্রচারণা প্রবল কমিউনিটি সেন্টাররূপী কৃষিবিদ ভবন থেকে এখন এই দখলদার গোষ্ঠি অনৈতিক পন্থায় অর্থ আত্মসাতের বলয় গড়ে তুলেছেন।’

ড. আব্দুর রাজ্জাক আরো বলেন, ‘মহামান্য আদালতের আইন সংগত আদেশের বরখেলাপ ও নির্দেশের চরম অবমাননা। তারা সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক নিযুক্ত প্রশাসক মহোদয়কে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কোন ধরণের সহায়তা না করে অবৈধভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় দেশের সর্বোচ্চ আদালত ঘোষিত মেয়াদ উত্তীর্ণ ও অবৈধ কমিটির পক্ষ থেকে কেআইবি নামে গৃহীত সকল কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকা এবং প্রশাসক কর্তৃক অবিলম্বে নির্বাচন অনুষ্ঠানে সর্বাত্মক আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সকল কৃষিবিদ ভাই-বোনদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি।’

আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন বাকৃবি অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের নির্বাহী সভাপতি কৃষিবিদ হামিদুর রহমান। এসময় অনান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন বাকসুর সাবেক ভিপি ইয়াসিন আলী, ওয়াসার সাবেক চেয়্যারমান ইঞ্জিনিয়ার রহমতুল্লাহ, বাকৃবি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবুল ফয়েজ কুতুবি, বাকৃবির সাবেক উপাচার্য ইমিরিটাস অধ্যাপক ড. এম এ সাত্তার মন্ডল, গ্লোবাল ভিলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য জাহাঙ্গীর আলম খান, সাবেক সিনিয়র সচিব আব্দুস সামাদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, বিএডিসি চেয়্যারমান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, বাংলাদেশ পরমাণু গবেষণা কৃষি ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. আব্দুল আউয়াল, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. শাজাহান কবীর। বাকৃবি অধ্যাপক আবু হাদী নূর আলী খান, ভেটোরিয়ান রাজ্জাক সরকার, বিএডিসির সদস্য পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, কৃষি ক্যাডার এসোসিয়েশনের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন, আইইবির কৃষি কৌশল বিভাগের চেয়্যারমান ইঞ্জিনিয়ার মেছবাহুজ্জামান চন্দন, বঙ্গবন্ধু ভেটেরিনারি পরিষদের মহাসচিব ডাঃ আজিজুল ইসলাম আজিজ, বাকৃবি ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদসহ আলোচনা সভায় প্রায় সহস্রাধিক অ্যালামনাই উপস্থিত ছিলেন।