Home সারাদেশ কুয়াকাটা সৈকতে হাজারো পর্যটকের উন্মাদনা

কুয়াকাটা সৈকতে হাজারো পর্যটকের উন্মাদনা

30

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ, একটু পর পরই আছড়ে পড়ছে সৈকতে। একই সাথে বৃষ্টি হচ্ছে থেমে থেমে। এর মধ্যেও থেমে নেই আগত পর্যটকরা। সমুদ্রের নোনা জলে গা ভাসিয়ে আনন্দে মেতেছেন তারা। সাপ্তাহিক দুই দিনের ছুটিকে কেন্দ্র করে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা সৈকতে ভীড় জমিয়েছে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা হাজারো পর্যটক। কেউ সৈকতের বেঞ্চিতে বসে উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। কেউবা আবার প্রিয়জনের সঙ্গে তোলছেন সেলফি। কেউ কেউ ওয়াটার বাইক কিংবা ঘোড়ায় চড়ে ঘুরছেন পর্যটন স্পটগুলো। দীর্ঘ ১ মাস পর বর্ষা মৌসুমের শেষের দিকে পর্যটকদের এমন বাড়তি উপস্থিতিতে হাসি ফুটেছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মুখে। বিক্রি বেড়েছে খাবার হোটেল ও আবাসিক হোটেলে। সেই সাথে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিষ্ট পুলিশ।
এদিকে শুক্রবার দুপুরের পর থেকেই কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্টের দু’পাশে আগত পর্যটকদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠে। ট্যুরিস্ট স্পট গুলো যেমন, লেম্বুর চর, শুটকী পল্লী, ঝাউবন, গঙ্গামতির লেক, কাউয়ার চর, মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ মন্দির, কুয়াকাটার কুয়া, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, রাখাইন তাঁত পল্লী, তিন নদীর মোহনা ও লাল কাকড়ার চড়েও রয়েছে পর্যটকদের বাড়তি উপস্থিতি। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকেই কুয়াকাটায় পর্যটকদের ব্যাপক চাপ রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
পর্যটক জানান, এর আগে বেশ কয়েকটি ফেরি পার হয়ে কুয়াকাটায় আসতে হতো। তখন অনেক বিরম্বনার শিকার হতে হয়েছে। এখন মাত্র ৬ ঘন্টায় কুয়াকাটা আসতে পারছেন তারা।
পর্যটক ইয়াসিন জানান, বন্ধুরা মিলে কুয়াকাটায় এসেছি। আমাদের যে আনন্দ, তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। সমুদ্রের ঢেউ ও মুহুর মুহুর গর্জন ভালোই লাগছে।
কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কুটুম’র সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আমির বলেন, আগে বর্ষার সময় তেমন পর্যটক থাকত না। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর কুয়াকাটায় অনেক পর্যটক বেড়েছে। বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর থাকে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন পুলিশ পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, আগত সকল পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা মুলক ব্যবস্থা প্রহন করা হয়েছে। দর্শনীয় স্পটগুলোতে সার্বক্ষণিক ট্যুরিস্ট পুলিশ নিয়োজিত রয়েছে।