Home রাজনীতি কারাবন্দি ৮ নেতার মুক্তির দাবিতে সিপিবির দেশব্যাপী বিক্ষোভ

কারাবন্দি ৮ নেতার মুক্তির দাবিতে সিপিবির দেশব্যাপী বিক্ষোভ

97

ডেস্ক রিপোর্ট: গাইবান্ধায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় কারাবন্দি সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য কমরেড মিহির ঘোষসহ ৮ নেতার অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে আজ ১২ ফেব্রুয়ারি শনিবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হিসেবে বিকেল ৪টায় ঢাকার পল্টন মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে সিপিবি সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, দেশের মানুষ ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য যে লড়াই-সংগ্রাম করছে হামলা-মামলা-গ্রেফতার-নির্যাতন করে তা দমন করা যাবে না। ইতিহাস স্বাক্ষ্য দেয় জেল-জুলুম দিয়ে কমিউনিস্ট পার্টির সংগ্রাম কখনই থামানো যায় না। তিনি বলেন, সরকার তাদের স্বৈরশাসন অব্যাহত রাখতেই ডিজিঠাল নিরাপত্তা আইনকে বিরোধী দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। তিনি আরো বলেন, যারা মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছে তারাই দেশদ্রোহী। রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় কাউকে জেলে নিতে হলে হলে ক্ষমতাসীনদের কারাদ- হওয়া সংগত। প্রকৃত দেশপ্রেমিক ৮ সিপিবি নেতাকে কারাবন্দি করা হয়েছে।
সিপিবি সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম-এর সভাপতিত্বে এবং সভাপতিম-লীর সদস্য কমরেড আবদুল্লাহ ক্বাফি রতন-এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলম, সভাপতিম-লীর সদস্য কমরেড রফিকুজ্জামান লায়েক, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড মৃণাল চৌধুরী, কমরেড আলতাফ হোসেন, কমরেড এনামুল হক, কমরেড এমদাদুল হক মিল্লাত, কমরেড এস এ রশীদ, কমরেড আনোয়ার হোসেন সুমন এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠক কমরেড মোতালেব মোল্লা।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশব্যাপী চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গাইবান্ধায় সিপিবি প্রার্থীকে কৃষক নেতা সাদেকুল ইসলাম মাস্টারকে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে ‘পরাজিত’ করার কাজে নেতৃত্ব দিয়েছেন স্থানীয় সরকার দলীয় সাংসদসহ তার দলের নেতৃবৃন্দ। তারা এতেই ক্ষান্ত হয়নি, সিপিবি’র প্রেসিডিয়াম সদস্য মিহির ঘোষ ও চেয়্যারম্যান পদপ্রার্থীসহ সিপিবি নেতাকর্মীদের নামে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছে। গত ১৯ জানুয়ারি ২০২২ সিপিবির মিহির ঘোষসহ ৭ নেতাকে এবং গতকাল আরেক নেতাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, অবিলম্বে কারাবন্দিদের মুক্তি, সকল হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল জিরো পয়েন্ট, বাইতুল মোকাররম লিংক ঘুরে মুক্তি ভবনে এসে শেষ হয়।