Home সারাদেশ কলারোয়া ফুটবল মাঠে আনান্দ মেলার নামে রক্তচুষা অবৈধ লটারী।। খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের...

কলারোয়া ফুটবল মাঠে আনান্দ মেলার নামে রক্তচুষা অবৈধ লটারী।। খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ

22

জুলফিকার আলী,কলারোয়া(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ফুটবল মাঠে আনান্দ মেলার নামে চলছে অবৈধ লটারী। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ফেরি করে লটারীর টিকেট বিক্রি করছে অর্ধশত ইজিবাইক। আনান্দ মেলা কলারোয়া এসব লটারী কিনে প্রতারিত হচ্ছে হাজারো মানুষ। সেই সঙ্গে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত বাড়ছে কলারোয়ায় বিভিন্ন প্রান্তে। এ ছাড়া মেলার ৮-১০টি স্টলে চলছে অবৈধ লটারি বিক্রি। যার কারণে ইতিমধ্যে সর্বশান্ত হতে শুরু হয়েছেন অনেকে। পারিবারিক অশান্তি দেখা দিয়েছে খেটে খাওয়া মানুষের ঘরে। ২০টাকা মূল্যের এই লটারীতে দেওয়া হচ্ছে মোটরসাইকেল সহ নানা পুরস্কারের প্রলোভন। এসব লটারীর মূল ক্রেতা রিকশা-ভ্যানচালক, চা দোকানদার, মুদি দোকানদার, দিনমজুরসহ নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ। পুরস্কারের আশায় প্রতিদিন হাজার হাজার টাকার লটারী টিকিট ক্রয় করে প্রতারিত হচ্ছেন তারা। এ ছাড়া লটারীর ড্র হয় গভীর রাত পর্যন্ত । এতে মাদক ও কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বেড়েছে কলারোয়ায়। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে কলারোয়া ফুটবল মাঠে এই মেলা শুরু হয়েছে। লটারীর কারনে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন হাজারো খেটে খাওয়া মানুষ। সরেজমিন দেখা যায়, কলারোয়ায় মাসব্যপী আনান্দ মেলা শুরুর দিন থেকেই অনুমোদনহীন লটারীর ব্যবসা শুরু করে আয়োজক কমিটি।
প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার লটারী বিক্রি করে নাম মাত্র মূল্যে মোটরসাইকেলের প্রলোভন দেখানো হচ্ছে। ২০ টাকায় লোভনীয় সুযোগ নেওয়ার জন্য দিনের সব আয় লটারীতে খরচ করার পর রাত শেষে নিঃস্ব হয়ে বাড়ি ফিরছে সাধারণ মানুষ। সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন সকাল থেকে অর্ধশত ইজিবাইক লটারীর টিকেট বিক্রি করছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। প্রশাসনের চোখের সামনে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার লটারীর খেলা চললেও নীরব ভূমিকা পালন করছে। সরোজমিনে যেয়ে দেখা য়ায়, আনান্দ মেলার মাঠে দোকান-পাট এখন চালু হয়নি। সার্কাস প্যান্ডেল কাজ চলছে কিন্তুু গরীব মানুষের রক্ত চোষা লটারীর টিকিট বিক্রি করার হিড়িক চলছে। অব্যধ লটারীর টিকিট কিনতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা, ভ্যান চালক,বয়-বৃদ্ধরা ভিড় করছে। মাসব্যাপী আনান্দ মেলায় এই অব্যধ লটারীর পরিচালক খুলনা সোনাডাঙ্গার স্বপন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি আনন্দ মেলার এক মাস অনুমোদন নিয়েছি লটারীর কোন অনুমোদন পাইনি মৌখিক বলছে তাই লটারী চালাচ্ছি। লটারীতে আমার প্রথম দিনে অনেক টাকা লোকসান আছে আজকে তৃতীয় দিন নিউজটা করবেন না। উপজেলার দুই গ্রুপের নেতাদের সাথে যোগাযোগ করে আর আমি উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এই আনান্দ মেলা চালাচ্ছি। আনান্দ মেলায় অব্যধ লটারীর বিষয়ে কারর মন্তব্য নেয়া যাচ্ছে না। কারণ যারাই রক্ষক তারাই ভক্ষক। কাকে বলবো এই কথা। সামনের রমজান মাস আর বিশেষ করে এই মাঠে রয়েছে স্মৃতিস্তম্ভ, শহিদদের গণকবর। বিজয় মাসে সেই মাঠে চলছে রাতভর হিন্দী গানের আসর আর রক্তচুষা লটারী। এখানে টাকার কাছে সব চুপ হয়ে গেছে। কলারোয়ার একমাত্র সরকারি ফুটবল মাঠ। সেখানে মাঠের মাটি কেটে পুরা মাঠ নষ্ট করেছে মেলার লোকজন।