Home জাতীয় উজিরপুরে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায়; উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত...

উজিরপুরে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায়; উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি

57

উজিরপুর প্রতিনিধিঃ বরিশালের উজিরপুরে প্রধান শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের ঘটনায় গত শনিবার ও রবিবার অনলাইনসহ বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসার তাছলিমা বেগম প্রতিবেদককে জানান উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের ঘটনাটি পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পেরে সোমবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শাহানাজ বেগম শিল্পিকে প্রধান করে সহকারী শিক্ষা অফিসার মোজাম্মেল হক ও নাসির আহম্মেদসহ ৩ জন বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আরো জানান কোন অপরাধী পার পাবেননা। দ্রুত সরেজমিন তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। উল্লেখ্য উপজেলার ১১নং হারতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বঙ্কিম চন্দ্র ঘোষ তার নিজস্ব ফোন নম্বর দিয়ে উপবৃত্তির টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করে। সনজিব চন্দ্র শীলের মেয়ে ৫ম শ্রেণির ক্লাসের ছাত্রী জয়িতা শীলের নাম ব্যবহার করে প্রধান শিক্ষক বঙ্কিম চন্দ্র ঘোষের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে আসা ৩ বার উপবৃত্তির ১৯শত টাকা উত্তোলন করে নিজেই আত্মসাত করেছেন। এদিকে ক্লাসে দেখা যায় জয়িতা নামের কোন শিক্ষার্থী নেই। অন্যান্য শিক্ষক বা শিক্ষার্থীরা জয়িতা নামের কোন ছাত্রীকে কখনো কেহ কোনদিন দেখেননি বলে জানান। এ নিয়ে এলাকায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ইতিপূর্বেও ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অন্যান্য শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতসহ বিভিন্ন দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ করেছে অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। অভিযোগটি বর্তমানে বিভাগীয় উপ-পরিচালকের টেবিলে জমা রয়েছে। এরই মধ্যে আবারো ভূয়া শিক্ষার্থী সাজিয়ে উপবৃত্তির টাকা আত্মসাত করেছেন তিনি। স্থানীয় একাধিক ব্যাক্তি আরো অভিযোগ করে বলেন স্কুল খোলার পরে গত বুধবার মহামারী করোনা মোকাবেলায় সরকারি নির্দেশ মোতাবেক সকল শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে সাবানসহ জীবানু নাশক সকল উপকরণ ব্যবহার করা বাধ্যতা মূলক করা হয়েছে। তা উপেক্ষা করে প্রধান শিক্ষক বঙ্কিম চন্দ্র ঘোষ জীবানু নাশক খালি বোতলের ছবি মোবাইল ফোনে ধারণ করে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দিন আহম্মেদের মোবাইল ফোনে পাঠান। এ নিয়েও ওই প্রধান শিক্ষক এলাকায় তোপের মুখে পড়েছিল। এদিকে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত অপসারনের দাবী জানিয়ে প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেন এলাকাবাসী।