ডেস্ক রিপোর্ট: ইস্তাম্বুলস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর কনিষ্ঠ পুত্র শহিদ শেখ রাসেল এর ৫৯তম জন্মদিন এবং ‘শেখ রাসেল দিবস’উদযাপনকরেছে। কনস্যুলেটর ফ্রেন্ডশিপহলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ইস্তাম্বুলে বসবাসরত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি অংশগ্রহণ করেন।শহিদ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুস্পার্ঘ অর্পণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানেরসূচনা হয়। কনস্যুলেটরকর্মকর্তারাদিবসটি উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকর্তৃকপ্রদত্তবাণীসমূহ পাঠ করেন।এরপর, শহিদ শেখ রাসেলের উপর নির্মিত বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নূরে-আলম বক্তব্যের শুরুতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি শহিদ শেখ রাসেল এর জীবন এবং দিবসটির প্রেক্ষাপট ও গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।কনসাল জেনারেল উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের তাদের সন্তানদের বাংলাদেশের ভাষা, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি জানা ও লালন করার উপর গুরূত্বারোপ করেন। আজকের শিশুরা ভবিষ্যতের কান্ডারী, তারাই সামনের দিনগুলিতে নেতৃত্ব দিবে। একটি সুখী-সমৃদ্ধ পৃথিবী গড়ে তোলার লক্ষ্যে, আজকের শিশুদের আদর্শ মানুষ হিসেবে বেড়ে ওঠার জন্য আমাদের সঠিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। জনাব নূরে-আলম, বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যকার ঐতিহাসিক বন্ধনকে নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার আহবান জানান। এর মধ্য দিয়ে দু’দেশের মধ্যকার ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো অর্থবহ ও সুদৃঢ় বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

প্রবাসী বাংলাদেশিরা সক্রিয় ও স্বতঃস্ফূর্তভাবেআলোচনায় অংশগ্রহণকরেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টশেখরাসেলএরনৃশংসহত্যাকান্ডবাংলাদেশেরইতিহাসেরজঘন্যতমঘটনাবলেসকলেমন্তব্যকরেন। শহিদ শেখ রাসেলেরবিদেহী আত্মার মাগগিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।