Home জাতীয় মাতৃত্বকালীন সুবিধা বিধিমালার শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী বিধিসমুহ বাতিল কর

মাতৃত্বকালীন সুবিধা বিধিমালার শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী বিধিসমুহ বাতিল কর

73

স্টাফ রিপোটার: সংশোধিত বিধিমালা ২০২২ এ মাতৃত্বকালীন সুবিধা সংকোচনের সুযোগসহ শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী যে বিধিসমুহ যু্ক্ত করা হয়েছে তা বাতিল করা এবং গনতান্ত্রিক শ্রম আইন ও গণতান্ত্রিক শ্রম বিধিমালা প্রণয়নের দাবিতে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের উদ্যোগে আজ ২৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টায়, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সহসভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, সহসম্পাদক জনার্দন দত্ত নান্টু, নবকুমার কর্মকার, ইমাম হোসেন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন, অর্থ সম্পাদক জুলফিকার আলী, সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি কামরুল আহসান, বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শামীম আরা, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশনের উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট আবুল হাসান, চা শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি বিপ্রব মাদ্রাজী পাশী, জাতীয় শ্রমিক জোটের কার্যকরী সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ প্রমুখ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, আইন কে কিভাবে বাস্তবায়ন করা হবে তার ব্যাখ্যা হলো বিধিমালা। অথচ ২০১৮ সালে শ্রম আইন সংশোধনের পর সংশোধিত বিধিমালা পেতে আমাদের প্রায় ৪ বছর অপেক্ষা করতে হলো। শ্রম বিধিমালা ২০১৫ এর শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী বিধিসমুহ বাতিলের জন্য দেশের জাতীয় শ্রমিক আন্দোলনের পক্ষ থেকে ৫৬ টি সুপারিশ করা হয়েছিল। কয়েকটি সুপারিশ গ্রহণ করা হলেও উৎসব বোনাসের নিম্নতম সীমা নির্ধারণসহ প্রধান ৪০ টি সুপারিশ উপেক্ষা করা হয়েছে। আইনের বিধান কে উপেক্ষা করে মাতৃত্বকালীন সুবিধা সংকুচিত করার সুযোগ রেখে মাতৃত্বকালীন সুবিধার নতুন হিসাব পদ্ধতি যুক্ত করা হয়েছে।
মহিলা শ্রমিকদের প্রতি অসদাচরণের তদন্তে কমিটি গঠনের বিধানে হাইকোর্টের রায় কে লংঘন করা হয়েছে। নিরাপত্তা তহবিলে টাকা জমা রাখার হার কমিয়ে কারখানা বা প্রতিষ্ঠান বন্ধে শ্রমিকদের চাকরি অবসানে প্রাপ্য আইনানুগ পাওনা পাওয়ার ক্ষেত্রকে অনিশ্চিত করা হয়েছে। রাত্রের সিফটের শ্রমিকদের চিকিৎসা সুবিধা, বিশ্রাম কক্ষ, ঠান্ডা পানি, ছুটির বিপরীতে অর্থনৈতিক সুবিধা, কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে শ্রমিকের নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকার সংকুচিত করা হয়েছে। অসদাচরণের অভিযোগ নিষ্পত্তির যে সময় নির্ধারণ করা হয়েছে তা শ্রম আইনের সাথে সাংঘর্ষিক। বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসুত্রিতার বিদ্যমান অবস্থায় শ্রম আইনের সাথে সাংঘর্ষিক বিধিমালা শ্রমিকদের দুর্ভোগকে আরোবাড়িয়ে দেবে। রীতি অনুসারে শ্রমিকদের প্রাপ্যতা কে কমানো যায়না অথচ শ্রম আইন বা বিধিমালা যতবার সংশোধন করা হয়েছে প্রতিবারই শ্রমিকের সুরক্ষার পরিবর্তে কৌশলে শ্রমিকের অধিকার সংকুচিত করা হয়েছে। সংশোধিত বিধিমালায় শ্রমিকদের সুরক্ষার পরিবর্তে সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরসমুহের ক্ষমতায়ন এবং ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার কে অবাধ করার পরিবর্তে নিয়ন্ত্রিত করার চেষ্টা প্রতিফলিত হয়েছে। নেতৃবৃন্দ, শ্রম আইন এবং বিধিমালার শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী ধারাসমুহ বাতিল করে গনতান্ত্রিক শ্রম আইন এবং গনতান্ত্রিক শ্রম বিধিমালা প্রণয়নের দাবি জানান। নেতৃবৃন্দ, চা শ্রমিকদের দৈনিক ৫০ টাকা হারে ২০ মাসের এরিয়ারের টাকা শারদীয় উৎসবের পুর্বে সম্পুর্ণ পরিশোধ করার এবং প্রকৃত চালকদের তালিকা তৈরী করে ব্যাটারি রিকশা-ইজিবাইকের লাইসেন্স প্রদানের আহবান জানান।