আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ডোনাল্ড রামশফেল্ড মারা গেছেন।বুধবার তার পরিবার থেকে বলা হয়েছে, তিনি নিউ মেক্সিকোর তাওসে নিজ বাসভবনে মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের আমলে অধিকাংশ সময় মার্কিন সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন এই রামশফেল্ড। মার্কিন সৈন্যরা ইরাকের রাজধানী বাগদাদ দখলে নেয়ার পর যে ব্যাপক লুটপাটের ঘটনা ঘটে তা পুরোপুরি অস্বীকার করে রামশফেল্ড ব্যাপক হঠকারী হিসেবে পরিচিতি পান।
এদিকে বুশ তার এই প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে অনুকরণীয় সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
বুশ ইরাকের আগ্রাসনের কথা সরাসরি উল্লেখ না করে বলেছেন, রামশফেল্ড আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর একজন বিশ্বস্ত কর্মবীর। তিনি আমেরিকাকে নিরাপদ ও আরো ভালো রাখার সেবায় নিয়োজিত ছিলেন।
প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেটরা ২০০৬ সালে কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর রামশফেল্ড পদত্যাগ করেছিলেন। তিনি ১৯৩২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে জন্ম নেন। রাশফেল্ড ১৯৭৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র্রের সবচেয়ে কম বয়সী প্রতিরক্ষামন্ত্রী হন। তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট বুশের অধীনে দ্বিতীয় দফায় সবচেয়ে বেশি বয়সী প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরে যখন পেন্টাগনে বিমান হামলা ঘটেছিল তখন তিনি পেন্টাগনেই ছিলেন। ধসে পড়া ভবনের পাশে তিনিই প্রথম কোনো সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে উপস্থিত হন। আহতদেরকে স্ট্রেচারে তুলে নিতে সহায়তা করেন।
এর এক মাসেরও কম সময় পরে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে বোমা হামলা শুরু করে । মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তালেবান সরকারের পতন ঘটে।
এরপরই ইরাকের দিকে চোখ ফেরায় যুক্তরাষ্ট্র। ইরাকের হাতে ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্র আছে এ অজুহাতে হামলা চালানো হয় দেশটিতে। কিন্তু ইরাকে সেই অস্ত্র না পাওয়া যাওয়ায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন রামসফেল্ড।
Home আন্তর্জাতিক ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের মন্ত্রী ডোনাল্ড রামশফেল্ডের মৃত্যু