Home সারাদেশ রাজশাহীতে ইসলামী হাসপাতালের কর্মকতা দ্বারা সাংবাদিক লাঞ্ছিত, আহত রোগী

রাজশাহীতে ইসলামী হাসপাতালের কর্মকতা দ্বারা সাংবাদিক লাঞ্ছিত, আহত রোগী

42

মো.পাভেল ইসলাম মিমুল রাজশাহী: রাজশাহী নগরীর লক্ষীপুর মোড়ে অবস্থিত ইসলামী হাসপাতালের কর্মচারী কর্তৃক নারী সাংবাদিক লাঞ্চিত হবার ঘটনা ঘটেছে।

রবিবার (০৮ জানুয়ারি) বেলা ২ টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালের ইউনিট ১ (নতুন ভবনে) এ ঘটনা ঘটে। পরে এ বিষয়ে রাজপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,দৈনিক উপচার পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মোসাঃ সোনিয়া খাতুনকে শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করা হয় ইসলামী হাসপাতালের মার্কেটিং অফিসার সহ আরো ৪/৫ জন কর্মচারি দ্বারা। তথ্য নেওয়ার সময় ভিডিও করলে সাংবাদিক সোনিয়ার মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়,গতকাল শনিবার (৭ জানুয়ারি) চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার কানসাট থেকে চিকিৎসা নিতে আসা তৈমুর নামক এক বৃদ্ধ রুগীকে মেরে আহত করার ঘটনাকে নিয়ে। সাংবাদিক সোনিয়া,হুমায়ুন কবীর ও নাইম হোসেন ঘটনাটি জানতে পারলে তৎক্ষণাৎ ইসলামী হাসপাতালে যান তথ্য নিতে।

পরে তারা জানতে পারে যে,আল্ট্রাসনোগ্রাফি ডাক্তার হাসনাইন জুবেরী বৃদ্ধ রুগী তৈমুর কে আল্ট্রাসনো মেশিনের প্রোব দিয়ে কপালে আঘাত করে রক্তাক্ত করে এবং আঘাতের কারনে রুগী প্রায় আধাঘন্টা বেহুশ অবস্থায় থাকে। পরে তার ঙ্গান ফিরলে আল্ট্রাসনো রুম থেকে কপালে জখম সহ বের করা হয়। কপালের জখমের বিষয়ে ডাক্তার কোন কিছু না বলে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে চলে যায়। তবে আল্টাসনো রুমের সহকারী নার্স বলেন ডাক্তার রেগে তার কপালে আঘাত করেছে।

এ বিষয়ে হাসপাতাল সুপারের নিকট মৌখিকভাবে অভিযোগ করলে তিনি বিষয়টি দেখবে বলে এড়িয়ে যান।

এরপর,সাংবাদিকদের সাথে রুগীকে সাথে নিয়ে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করতে হাসপাতালের ৪/৫ জন কর্মচারি একটা রুমে রুগী সহ রুগীর স্বজনদের ঢুকিয়ে সাংবাদিকদের জোর করে বের করে দেয় এবং বলেন আগে আমরা রুগীর সাথে কথা বলবো তারপর আপনাদেরকে জানানো হবে। ঘটনার ফলাফল জানার জন্য সাংবাদিকগণ প্রায় আধাঘন্টার বেশি বাইরে অপেক্ষা করে এক পর্যায়ে সাংবাদিকরা তাদের কাছে মিমাংসার ফলাফল জানতে চাইলে তারা বলেন ঘটনার সমাধান হয়ে গেছে।

তবে কি সমাধান হয়েছে এই প্রশ্ন করলে সাংবাদিকদের চোখ রাঙ্গিয়ে কর্কশ ভাষায় কথা বলে এবং মহিলা সাংবাদিক সোনিয়াকে ধাক্কা দিয়ে তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে বলেও জানান অভিযোগকারী সোনিয়া।

এদিকে,এমন ঘটনার জন্য রাজশাহী অনলাইন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক উপস্থিত থেকে প্রতিবাদ করলে হাসপাতালের মার্কেটিং অফিসার সহ অন্যান্য ৪/৫ প্রশাসনিক অফিসাররা হাসপাতাল সুপারের সাথে যোগাযোগ করতে বলে। ঘটনার প্রায় আধাঘণ্টা পর হাসপাতাল সুপারের সাথে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ দেখা করে সঠিক সমাধান না পেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

অন্যদিকে, এ ঘটনার জন্য নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বাংলাদেশ জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা রাজশাহী বিভাগের সভাপতি নুরে ইসলাম মিলন সহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।