Home শিক্ষা ও ক্যাম্পাস ইবিতে ঠাকুরগাঁও জেলার নবীন বরণ ও প্রবীণ বিদায় অনুষ্ঠিত

ইবিতে ঠাকুরগাঁও জেলার নবীন বরণ ও প্রবীণ বিদায় অনুষ্ঠিত

15

ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা ঠাকুরগাঁও হতে আগত শিক্ষার্থীদের সংগঠন ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতি কতৃক নবীন বরণ এবং প্রবীণ বিদায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় দিনব্যাপী নানা আয়োজন সাজানো হয় সংগঠনটির পক্ষ থেকে।

শুক্রবার ( ০৯ ফেব্রুয়ারী) দিনভর নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকে দিনটি উপভোগ করেন সংগঠনটির সদস্যরা। এসময় ২১-২২ এবং ২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণের পাশাপাশি ১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের বিদায়ী ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এই সংগঠনটি।

অনুষ্ঠানে সংগঠনটির বর্তমান সভাপতি কপিল দেব রায়ের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ তৌহিদুর রহমান এবং ডিজিএম এর পরিচালক মোঃ সেলিম চৌধুরী। এসময় বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবনূর হাসান নাহিব, প্রাক্তন সভাপতি ফাহিম ফয়সাল, সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ সহ প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সিফাত জাহান আইভি।

এসময় পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ তৌহিদুর রহমান বলেন, তোমরা যারা নবীনরা আছো তারা চলতে-ফিরতে শুরুতে হয়তো নানা সমস্যা ফেস করতে পারো, সবার সহযোগিতার জন্যই এই জেলা ছাত্রকল্যাণ সংগঠনটি। তোমরা সিনিয়র সবাইকে সম্মান প্রদর্শন করবা, তাদের থেকে শেখার যা আছে তা শিখবা। বিদায়ীদের উদ্দেশ্যে বলবো তোমরা কর্মক্ষেত্রের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করো এবং সর্বদা জেলা ছাত্রকল্যাণের সাথে যোগাযোগ বজায় রাখবা। আমি এই বিশ্বাস করি তোমাদের থেকে আমি আমার সহকর্মী হিসেবে যোগ্যতা রাখো। সেভাবে নিজেদের প্রস্তুত করো।

প্রধান অতিথি আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, আমাদের জীবনটা আসলেই সংগ্রাম। আমাদের যুদ্ধটা নিজের মধ্যে- আমি কোনটা বেছে নিবো? আমরা কেন যেন নোটবুক গাইডবুকের গণ্ডিতে আছি। আমরা এই জায়গায় আসছি অনেক নোংরা পরিবেশ থেকে পড়াশোনা করে আসা হয়েছে কিন্তু তোমরা আজকে সুন্দর পরিবেশ পেয়েছো। আর প্রবীণদেরমনে একটা আফসোস থাকছে – কী করলাম চার-পাচঁটা বছর? এই আফসোস যেন নবীনদের না থাকে সেই পথে হাঁটো। কয়েকটা ইতিবাচক ও নেতিবাচক শত্রুর সাথে ফাইট করা লাগবে। যেমন দ্বৈত আচরণ পরিহার করা, তাহলে মানুষ বুঝে নিবে তোমার একটা স্বতন্ত্র পরিচয় আছে।