Home জাতীয় ইজিবাইক অন্তর্ভুক্তির দাবিতে স্মারকলিপি পেশ

ইজিবাইক অন্তর্ভুক্তির দাবিতে স্মারকলিপি পেশ

47

বরিশাল অফিস: ব্যাটারি চালিত যানবাহনের জন্য নীতিমালা প্রণয়নের কমিটিতে ব্যাটারি রিকশা এবং ইজি বাইককে অন্তর্ভুক্ত করা, কাঠামোগত ত্রুটি দূর করে আধুনিকায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ, যে কোন বড় সড়কে পার্শ্ব রাস্তা নির্মাণ করে সড়কে ঝুঁকি কমানোর পদক্ষেপ গ্রহণ, ব্যাটারি চালিত যানবাহনের লাইসেন্স প্রদান করে বিভিন্ন মহলের চাঁদাবাজি বন্ধ করা এবং চালকদের সড়কে চলাচলের নিয়ম সম্পর্কে এবং মেকানিকদের কারিগরি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা- এই ৫ দফা দাবিতে সারাদেশে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং বিআরটিএ এর চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি পেশের কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বরিশালে অশি^নীকুমার হল চত্তরে সহ¯্রাধিক শ্রমিকের বিক্ষোভ সমাবেশ এবং মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

রিকশা, ব্যাটারি রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব, বাসদ বরিশাল জেলার আহŸায়ক প্রকৌশলী ইমরান হাবিব রুমনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বরিশাল রিক্সা-ভ্যান চালক শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি খুলনা ২৩২৪) এর সভাপতি দুলাল মল্লিক, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট বরিশাল জেলার সাধারণ সম্পাদক মানিক হাওলাদার, রিক্সা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড সভাপতি মনির হোসেন, ৫ নং ওয়ার্ড সভাপতি মো. রফিক, ৭ নং ওয়ার্ডের সভাপতি স্বপন দাস, ৯ নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক, ১৫ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, ২২ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মহসিন মীর, ২৭ ওয়ার্ডের সাইদুর রহমান, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের বিজন শিকদার, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের মাফিয়া বেগম। সভা পরিচালনা করেন শহিদুল ইসলাম।

প্রকৌশলী ইমরান হাবিব রুমন বলেন, সারাদেশের ৫০ লাখ ব্যাটারি চালিত রিকশা, ইজিবাইকসহ দেশীয় যানবাহন চালক, গ্যারেজ মালিক, ক্ষুদ্র রিকশা মালিক, মেকানিক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন। আপনি জানেন, জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে কর্মসংস্থানের চেষ্টা করতে গিয়ে সারাদেশে রিকশা, ব্যাটারি রিকশা, ইজিবাইক যে এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত তা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। এই ক্ষেত্রে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে, ৪২ টি উপখাত সৃষ্টি হয়েছে এবং প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে আড়াই কোটি মানুষ নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। একদিকে অর্থনীতিতে অবদান, কর্মসংস্থান, দেশীয় শিল্পের বিকাশ অন্যদিকে দেশের সর্বত্র সাধারণ মানুষের অন্যতম বাহন হিসেবে ব্যাটারিচালিত বাহন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সব যানবাহন পরিবেশ দূষণ করে না, জ্বালানী অপচয় করে না, অল্প সময়ে এবং অল্প জায়গা ব্যবহার করে অধিক যাত্রী পরিবহণ করে থাকে। কিন্তু দেশীয় প্রযুক্তি এবং মেকানিকদের দ্বারা নির্মিত বলে শুরুতে এইসব বাহনের নির্মাণে কিছু দুর্বলতা ছিল। ইতিমধ্যে অভিজ্ঞতা অর্জনের ফলে সে সব ত্রুটির কিছু যেমন সংস্কার করা হয়েছে তেমনি আধুনিকায়নের জন্য প্রকৌশলী ও যানবাহন চলাচল বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ গ্রহণ করলে এই সব যানবাহনের আরও আধুনিকায়ন, ব্যয় সাশ্রয়ী এবং নিরাপদ করা সম্ভব হবে বলে আমাদের বিশ্বাস। একটি সঠিক নীতিমালা প্রণয়ন করে এই সমস্ত যানবাহনকে লাইসেন্স প্রদান করা হলে রাষ্ট্র যেমন রাজস্ব পাবে তেমনি সড়কেও শৃঙ্খলা রক্ষা করা সম্ভব হবে। আমরা আশা করি এই নীতিমালা প্রণয়নের সময় ব্যাটারি রিকশা, ইজিবাইক এবং অন্যান্য দেশীয় যানবাহনকেও অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

সমাবেশ শেষে একটি মিছিল নগরির প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করে।