Home রাজনীতি আগামী ৫০ বছরেও বিএনপির ক্ষমতায় আসার সুযোগ নেই–ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হানিফ

আগামী ৫০ বছরেও বিএনপির ক্ষমতায় আসার সুযোগ নেই–ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হানিফ

46

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি; বিএনপির আগামী ৫০ বছরেও রাষ্ট্রের ক্ষমতায় আসার কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গণে আয়োজিত জেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
হানিফ বলেন, বিএনপি বিরোধী দলে থাকাবস্থায় ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ করে জনগণের ওপর বারবার আক্রমণ করেছে। যার ফলে তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এই জনবিচ্ছিন্নতার কারণেই তারা দিশাহারা হয়ে সকালে এক কথা আবার বিকেলে আরেক কথা বলে। নানা ধরনের মিথ্যাচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চায়। তাদের লক্ষ্য একটাই-দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্থ করা। কারণ তারা জানে, উন্নয়ন-অগ্রগতির ধারা যদি অব্যাহত থাকে; এ দেশের জনগণ সবসময় শেখ হাসিনার প্রতি আস্থাশীল থাকবে। বিএনপির আগামী ৫০ বছরেও রাষ্ট্রের ক্ষমতায় আসার কোনো সুযোগ নেই। এ কারণে তারা হতাশ। আর হতাশ হয়েই তারা নানা ধরনের মিথ্যাচার করে রাস্তায় নামছে।
তিনি বলেন, বিএনপি দেশকে অস্থিতিশীল করার যে কর্মকান্ড চালাচ্ছে- সে সম্পর্কে সরকার সজাগ আছে। আইনশৃক্সখলা বাহিনী যে কোনো অশুভ তৎপরতাকে রুখে দেওয়ার জন্য যথেষ্ঠ। পাশপাশি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরও সজাগ থাকতে হবে। বিশেষ করে বিএনপির মিথ্যাচারে জনগণ যেন বিভ্রান্ত না হয়, সেজন্য আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ভূমিকা রাখতে হবে। জনগণের কাছে আমাদের উন্নয়ন-অগ্রগতির কথা এবং চিত্রগুলো তুলে ধরতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে- এই ধারা অব্যাহত রাখার জন্য শেখ হাসিনার বিকল্প কেউ নেই; সেটি বলতে হবে।
নতুন নির্বাচন কমিশন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে গঠন করা হয়েছে উল্লেখ করে হানিফ আরও বলেন, বিএনপির এখন নতুন ইস্যু হল নির্বাচন কমিশন। তারা যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তাদের প্রধানমন্ত্রী তালিকা দিয়েছে আর রাষ্ট্রপতি গ্যাজেট করে পাঠিয়ে দিয়েছে। এটি ছিল তাদের নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়া। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরে নির্বাচন কমিশন গঠনে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সর্বোচ্চ পন্থা অবলম্বন করেছেন। রাষ্ট্রপতি সব দলের সাথে সংলাপের মাধ্যমে পরামর্শ করে তাদের দেওয়া নামের ভিত্তিতে সার্চ কমিটি গঠন করে; সার্চ কমিটির নামগুলো যাচাই-বাছাই করে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। এটাই ছিল গণতান্ত্রিক পদ্ধতির সবচেয়ে উত্তম পন্থা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ বর্ধিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয় সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী এবং আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) বি. এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনের সংসদ সদস্য এবাদুল করিম বুলবুল, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলি আজাদ। বর্ধিত সভা সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার।