Home খেলা অ্যালকোহলে অভ্যস্থ দর্শকদের উদ্বেগ দূর করল বিশ্বকাপের আয়োজকেরা

অ্যালকোহলে অভ্যস্থ দর্শকদের উদ্বেগ দূর করল বিশ্বকাপের আয়োজকেরা

60

ডেস্ক রিপোর্ট; প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজন করতে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। তবে বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রস্তুতির শুরু থেকেই একটি বিষয় উঠে আসছিল বারবার—ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের মূল্যবোধের বিরোধ!

ইউরোপ, আমেরিকা বা আফ্রিকা থেকে খেলা দেখতে কাতারে যাওয়া দর্শকেরা কাতারে উদ্দাম চলাফেরা করতে পারবে কি না—এ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিল অনেকে। ফুটবলের আনন্দ উপভোগ করতে যাওয়া ফুটবলপ্রেমীদের স্বাধীনতা খর্ব হতে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন কেউ কেউ।

বিশেষ করে বাইরের দেশ থেকে খেলা দেখতে কাতারে যাওয়া দর্শকেরা মদ্যপান নিয়ে বাধার সম্মুখীন হবেন কি না, প্রশ্ন ছিল এটা নিয়ে। কিছুদিন আগে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের আয়োজক কমিটির প্রধান নির্বাহী নাসের আল খাতের বলেছিলেন, ফ্যান জোন এবং লাইসেন্সপ্রাপ্ত হোটেলগুলোতে বিশ্বকাপের সময় মদ পরিবেশনের ব্যবস্থা থাকবে। কিন্তু প্রকাশ্যে কেউ মদ্যপান করতে পারবেন না বা মাঠে অ্যালকোহল–জাতীয় কিছু নিয়ে যেতে পারবেন না।

বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা হয়েছে বিস্তর। সেই সমালোচনার পর খাতের আজ মদ্যপানে অভ্যস্ত দর্শকের উদ্বেগ দূর করেছেন। তিনি বলেছেন, কাতারে স্টেডিয়ামের ভেতরেও দর্শকদের জন্য মদ্যপানের ব্যবস্থা থাকবে।

কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে শুরু থেকেই বিরোধিতা করে আসছিলেন অনেকে। যেখানে সমকামিতা নিষিদ্ধ করাসহ আরও অনেক বিষয় নিয়ে সমালোচনার মুখে ছিল আয়োজকেরা। তবে এখন এসে চাপের মুখে অনেক ক্ষেত্রে ছাড় দিতে শুরু করেছে তারা।

স্টেডিয়ামে অভ্যন্তরে মদের ব্যবস্থা নিয়ে আল খাতের বলেছেন, ‘স্টেডিয়ামে মদের ব্যবস্থা থাকবে। আমরা অন্য যেকোনো বিশ্বকাপ আয়োজনের মতো করে এই বিশ্বকাপটি আয়োজনে কাজ করে যাচ্ছি। সে বিবেচনায় এটা খুবই স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। কাতারে ২০২২ সালের বিশ্বকাপ অন্য বিশ্বকাপগুলোর চেয়ে ভিন্ন কিছু নয়।’

আল খাতের জানিয়েছেন, তাঁরা চেষ্টা করছেন বিশ্বকাপকে সব ধরনের দর্শকদের জন্য উপভোগ্য করে তুলতে। সেভাবে আয়োজনেও সমন্বয় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রধান নির্বাহী এ বিষয়ে বলেছেন, ‘অভিজ্ঞতার দিক থেকে আমরা সব ধরনের মানুষের কথাই ভাবছি। হতে পারে সেটা সংবাদকর্মী, সমর্থক এবং ম্যাচ পরিচালনাকারী। আমরা তাদের অভিজ্ঞতাকেও বিবেচনায় নিচ্ছি। আমাদের বিশ্বাস, এবারের বিশ্বকাপ তাদের সবাইকে অভিনব অভিজ্ঞতা দেবে। ব্যাপার হচ্ছে, একটি শহরে তারা সবাই একত্র হবে। ভিন্ন ভিন্ন বিনোদনমূলক অঞ্চল থেকে দেখলে, আমরা চাই তারা ফিরে গিয়ে এটিকে অসাধারণ একটি বিশ্বকাপ হিসেবেই মনে রাখুক।’
প্রথমআলো