Home জাতীয় অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদের বইয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিতে ঢা.বি. শিক্ষক সমিতি

অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদের বইয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিতে ঢা.বি. শিক্ষক সমিতি

29

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও জেনোসাইড স্টাডিজ সেন্টারের পরিচালক ইমতিয়াজ আহমেদ তার লেখা বই (শিরোনাম: হিস্টোরিসাইজিং ১৯৭১ জেনোসাইড: স্টেট ভার্সেস পারসন)-এ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চ ভাষণ শেষে ‘জয় বাংলা’র সাথে ‘জয় পাকিস্তান’ বলেছেন বলে দাবী করেছেন (পৃ. ৪০), একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে অযথা বিতর্কের অবতারণা করেছেন (পৃ. ১৫ ও ১৬) ও ১৯৭১-এর গণহত্যার বিচার না হওয়ার পিছনে বিভিন্নভাবে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সরকারকে দায়ী করেছেন (পৃ. ১২, ১৩) এবং একাত্তরের গণহত্যার বিচারের ক্ষেত্রে ঐ সময়ে ‘বাঙালীদের দ্বারা বিহারীদের হত্যার’ বিচার করা উচিত বলে দাবী করেছেন (পৃ. ৪১, ৪২)।
ঢাকা বিশবিদ্যালয় শিকক সমিতি সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ নিজামুল হক ভূইয়া ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা আজ গণমাধ্যমে এত বিবৃতিতে বলেন, তার এই ন্যাকারজনক ইতিহাস বিকৃতির তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে ও তার এই গ্রন্থটি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে। শিক্ষক সমিতি মনে করে, উপরোক্ত বিষয়গুলো ইতোমধ্যে রাষ্ট্রীয় ও একাডেমিকভাবে সুরাহা হয়েছে। এগুলো নিয়ে অযথা বিতর্ক তৈরির সুযোগ নেই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৭ মার্চের ভাষণ যেটি তিনি সমাপ্ত করেছিলেন ‘জয় বাংলা’ বলে সেই ভাষণটি ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্যের দলিল হিসেবে স্বীকৃত। সুতরাং জোনোসাইড স্টাডিজ সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ যে ‘জয় পাকিস্তান’ স্লোগানের কথা বলছেন তা একদিকে যেমন ইতিহাস বিকৃতির অকাট্য প্রমাণ ঠিক একইভাবে আন্তর্জাতিক পরিসরে
স্বীকৃত ‘জয় বাংলা’ সম্বলিত বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণটিকে চ্যালেঞ্জ করণের অপচেষ্টা।
বিবৃতিতে বরেন, এদেশে একমাত্র ৭১-এর পরাজিত শক্তিই উপরোক্ত নিষ্পত্তিকৃত বিষয়সমূহ নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বিতর্কিত করা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করার অপচেষ্টা করে। অধ্যাপক ইমতিয়াজ তার গ্রন্থে একই অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়ে ৭১-এর পরাজিত শক্তির দোসর হিসেবে কাজ করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি তাকে অনতিবিলম্বে জেনোসাইড স্টাডিজ সেন্টারের পরিচালকের পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান ও তার গ্রন্থে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির তদন্তের জন্য সিন্ডিকেট কর্তৃক মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের ইতিহাস বিষয়ে পন্ডিত শিক্ষকদের সম্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি প্রণয়নের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাবী জানাচ্ছে।
শিক্ষক সমিতি অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদের বই-এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও সরকারের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছে।