Home জাতীয় পাঠ্যপুস্তকে বিবর্তনবাদ বিষয় বাদ দেওয়ার পরিকল্পনার তীব্র নিন্দা

পাঠ্যপুস্তকে বিবর্তনবাদ বিষয় বাদ দেওয়ার পরিকল্পনার তীব্র নিন্দা

28

ডেস্ক রিপোর্ট: ৬ষ্ঠ শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক সংশোধনের নামে তা থেকে বিবর্তনবাদ বিষয়টি বাদ দেওয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ ও সাধারণ সম্পাদক শোভন রহমান আজ ২৭ জানুয়ারি এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, আধুনিক জীববিজ্ঞানের অন্যতম ভিত্তি হচ্ছে চার্লস ডারউইনের প্রকৃতিক নির্বাচনের ভিত্তিতে বিবর্তনবাদ। বিবর্তনবাদ ব্যতিরেকে বর্তমান বিশ্বের জীববিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিজ্ঞানের কথা কল্পনাও করা যায় না। দীর্ঘদিন ধরেই একটি মৌলবাদী গোষ্ঠী বিবর্তনবাদের বিরুদ্ধে নানান অবৈজ্ঞানিক, কাল্পনিক, মনগড়া এবং কূপমণ্ডূক অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। এটা শুধুই বাংলাদেশে না, বিশ্বব্যাপী সকল ধর্মের কট্টর মৌলবাদী অংশই এটা করছে। কিন্তু বিজ্ঞানের কাজ কারোর অনুভূতিকে রক্ষা করে এগোনো না। বিজ্ঞান এগোবে তথ্য উপাত্ত, পরীক্ষালব্ধ প্রমাণের ভিত্তিতে। আর সেই পরীক্ষায় বিবর্তনবাদ এখনও সবথেকে সফল তত্ত্বগুলোর মধ্যে একটি। একে বাদ দিতে হলে পরীক্ষা-নীরিক্ষা, গবেষণার মাধ্যমেই বাদ দিয়ে উন্নততর এবং অধিকতর সঠিক তত্ত্বকে গ্রহণ করতে হবে, কারোর অপপ্রচারে বা রাজনৈতিক চাপে না। বাংলাদেশ সরকার দেশের মৌলবাদী গোষ্ঠীর সাথে আপোষ করে দীর্ঘদিন আগে থেকেই পাঠ্যপুস্তকে প্রগতিশীল ও মুক্তচিন্তার উপাদান বাতিল করে সাম্প্রদায়িক ধ্যান-ধারণার বিষয় অন্তর্ভুক্ত করছে। সর্বশেষ এবছর ভুলে ভরা এবং অসঙ্গতিপূর্ণ পাঠ্যপুস্তক নিয়ে তুমুল সমালোচনার মুখে সরকার বলছে তারা পাঠ্যপুস্তক সংশোধন করবে, কিন্তু যৌক্তিক সমালোচনাগুলোকে আমলে না নিয়ে উল্টো সবার আগে তারা আক্রমণ করলো বিবর্তনবাদের উপরই। আমরা মনে করি এটি সরকারের মৌলবাদ তোষণ করে ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করার নীতি।

নেতৃবৃন্দ বলেন, বিবর্তনবাদ বাদ দেওয়া মানে শুধুই বিবর্তনবাদ বাদ দেওয়া নয়। এর মানে জনগণকে আরও কূপমণ্ডূকতার দিকে ঠেলে দেওয়া, জীবন ও জগত সম্পর্কে অন্ধকারে রেখে দেওয়া। নেতৃবৃন্দ সরকারকে এমন গণবিরোধী সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন প্রক্রিয়া ও ভুল এবং অসঙ্গতি দূর করার উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান। পাশাপাশি সর্বজনীন বিজ্ঞানভিত্তিক সেক্যুলার শিক্ষার দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্মিলিত আন্দোলন গড়ে তোলারও আহ্বান জানান।