Home জাতীয় অটোরিকশা শ্রমিককে কর্মচ্যুত করে পথে বসিয়েছে

অটোরিকশা শ্রমিককে কর্মচ্যুত করে পথে বসিয়েছে

35

ডেস্ক রিপোর্ট: ‘ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাা—ভ্যান—ইজিবাইক: সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে আজ ৪ সেপ্টেম্বর তোপখানা রোডস্থ সংহতি মিলনায়তনে সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়। জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আলোচনা করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ পরিষদের সাবেক পরিচালক ড. মিজানুর রহমান; বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি শহীদুল্লাহ চৌধুরী, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য রঞ্জিত কুমার সাহা, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এএএম ফয়েজ হোসেন, জাতীয় গণতান্ত্রিক শ্রমিক ফেডারেশনের আহ্বায়ক শামীম ইমাম, বিপ্লবী শ্রমিক সংহতির আহ্বায়ক আবু হাসান টিপু, শ্রমজীবী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা সুবল সরকার, ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলিফ দেওয়ান, শ্রমজীবী সংঘের সভাপতি আব্দুল আলী, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন বাংলাদেশ—এর কেন্দ্রীয় নেতা বিধান দাস, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন, লেখক ও রাজনীতিক ফিরোজ আহমেদ; রিকশা—ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম নাদিম, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা—ভ্যান শ্রমিক ফেডারেশনের ময়মনসিংহ জেলার নেতা শেখর রায়, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা মালিক—শ্রমিক ফেডারেশন ও বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন হবিগঞ্জ জেলার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ধনু মিয়া, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা—ভ্যান—ইজিবাইক বৈধকরণ সংগ্রাম কমিটির নেতা সুস্মিতা রায় সুপ্তি প্রমুখ। মতবিনিময় সভার শুরুতে একটি লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনান সভাপতি জহিরুল ইসলাম এবং সঞ্চালনা করেন শামীম ইমাম।

বক্তাগণ মতবিনিময় সভায় বলেন, সরকার প্রায় ৫০ লক্ষের বেশি অটোরিকশা শ্রমিককে কর্মচ্যুত করে পথে বসিয়েছে। এর সাথে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় আড়াই থেকে ৩ কোটি মানুষ। যেসমস্ত খোঁড়া যুক্তি দেখিয়ে সরকার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা—ভ্যান বন্ধ করেছে, তা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। বুয়েটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী ও বিশেষজ্ঞগণ রিকশার সমস্যার সমাধানমূলক পরামর্শ দিলেও সরকার সেপথে না গিয়ে বরং পুঁজিপতিদের স্বার্থে নতুন ধরনের গাড়ি আমদানির জন্যে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে সড়ক দুর্ঘটনা, বিদ্যুৎ অপচয় ইত্যাদি অজুহাতের পেছনে ব্যবসায়িক স্বার্থই প্রধান। অথচ সরকারের দায়িত্ব ছিল এই করোনা মহামারিতে শ্রমজীবী মানুষদের খাদ্য—চিকিৎসার নিরাপত্তা দেওয়া। সেটা না করে সরকারের এই সিদ্ধান্ত চরম অমানবিক ও অন্যায্য।

নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা—ভ্যান ও ইজিবাইকের উপর নিষেধাজ্ঞা বাতিলসহ চাঁদাবাজি, পুলিশের হয়রানি বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।