Home বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেসবুকে গুজব, সাবধান!

ফেসবুকে গুজব, সাবধান!

38

ডেস্ক রিপোর্ট: ফেসবুকে বিভিন্ন গুজব ছড়ানো হচ্ছে। অনেকে আবার বিশ্বাসও করছেন। তাবে চিল কান নিয়ে গেছে শুনেই উড়ন্ত চিলের পিছু পিছু দৌড়াবেন না। নিজের কানে হাত দেওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন অনেকে।

কখনো কখনো গুজব ছড়িয়ে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি বা কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করা হয়। বাজারকে অস্থিতিশীল ও স্বাভাবিক জনজীবনকে বিপন্ন করা হয়।

গুজবের নামেই যা-ই করা হোক, সবই উদ্দেশ্যমূলক। মতলববাজ গোষ্ঠী গুজবের আশ্রয় নিয়ে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ফায়দা লুটে। সাধারণ, নিরীহ, বোকা মানুষ গুজবের স্রোতে ভেসে নিজের ও অপরের ক্ষতি করে।

প্রধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নামে বিরামহীনভাবে ছড়ানো হচ্ছে গুজব। প্রতিদিন শত শত আইডি থেকে এসব আজগুবি তথ্য ছড়িয়ে আতঙ্ক তৈরি করছে একটি মহল। পুলিশ বলছে, রাজনৈতিক ফায়দা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং ভিউ বাড়ানোর জন্য এসব গুজব ছড়ানো হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গুজব ছড়ানো হয়েছিল পঁচাত্তরেও। এখনই এসব মোকাবিলা করতে না পারলে সামনে বিপদের আশঙ্কা আছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে ছড়ানো হচ্ছে নানা আজগুবি তথ্য। এসব গুজবে প্রধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সেলিব্রেটিদের নাম জড়ানো হচ্ছে।

‘রাতেই প্রধানন্ত্রীর পদত্যাগ, সকালে ১৪৪ ধারা জারি’, ‘আরও ভয়ংকর হরতালের ডাক বিএনপির’, ‘উভয় সংকটে শেখ হাসিনা, যেকোনো মুহূর্তে পতন’, ‘ঢাকা ঘেরাও করেছে নূরবাহিনী’, ‘আন্দোলনে উত্তাল রাজপথ’- এমন আজগুবি তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর বাসায় র‌্যাবের অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে কোটি কোটি টাকা’- এমন গুজব ছড়ানো হয়েছে ইউটিউবে। অন্য অভিযানের ছবি ব্যবহার করে ছড়ানো হয়েছে এই গুজব।

গোয়েন্দা বিভাগের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ তারিক বিন রশিদ বলেন, যারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় তারাই মূলত এমন কাজগুলো করে থাকে। তাই এসব খবর বিশ্বাস না করতে পরামর্শ দেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘যেকোনো খবর শুনেই প্রতিক্রিয়া দেখাবেন না, আগে যাচাই করুন ঘটনা সত্য কি না। দেখা যায় এমন অধিকাংশ খবরই মিথ্যা।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নানা রকম ফায়দা লুটতে একটি মহল এই ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে। তাই এখনই সতর্ক হওয়ার পরামর্শ।
আমাদের সময়.কম