Home শিক্ষা ও ক্যাম্পাস কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের ফেল করে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে কেন্দ্র সচিব।

কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের ফেল করে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে কেন্দ্র সচিব।

430

মোঃ মহশীন আলী, রংপুর অফিস: বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার তিনটি মাদরাসা যথা-রাতোর (আরএফএস) দাখিল মাদরাসা, বাংলাগড় দাখিল মাদরাসা ও হোসেনগাঁও দাখিল মাদরাসার আয়োজনে উক্ত মাদরাসার এসএসসি(দাখিল) পরীক্ষা-২০২৩ এ পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র, ওএমআর শীট, এমসিকিউ প্রশ্নপত্র পরিবর্তণ করে নতুন প্রশ্ন সংযোজন, একের অধিক বৃত্ত ভরাট, ওএমআর এর নম্বর ঘষামাজা করে পরিবর্তণ, পরীক্ষার্থীদের মূলখাতার সেলাই কেটে আলাদা খাতা সংযোজন এবং
আক্রোশমূলক ভাবে রোল নম্বর গুলো চিহ্নিত করে পরিকল্পিত ভাবে পরীক্ষায় ফেল করে দেওয়ার অভিযোগ এনে তারই প্রতিবাদে পরীক্ষার কেন্দ্র সচিবের বিরুদ্ধে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের একটি রেস্টুরেন্টে এমন অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন উক্ত মাদরাসার সুপারিটেনডেন্টগণ। এ সময় উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উক্ত মাদরাসার অকৃতকার্য হওয়া সকল ছাত্র-ছাত্রীগণ, তাদের অভিভাবকগ, মাদরাসার কতিপয় দু’একজন শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিগণসহ জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে মাদরাসার সুপারিন্টেন্ডেন্টগণ আলাদা আলাদা বক্তব্যে রাতোর(আরএফএস) দাখিল মাদরাসার সুপারিন্টেন্ডেন্ট বলেন, তাঁর মাদরাসায় ২০২৩ সালের পরীক্ষায় A+(এ+) পাওয়ার মতো বেশ কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী ছিল। পরীক্ষার ফলাফল ও নম্বরপত্র হাতে পাওয়ার পর তারা সবাই হতাশ হয়ে পড়েন এবং বোর্ড চ্যালেঞ্জ করে তারা জানতে পারেন যে, জীববিজ্ঞান বিষয়ে তাদের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পরিকল্পিত করে জীববিজ্ঞান পরীক্ষার দিনে রাণীশংকৈল আবাদতাকিয়া মোহাম্মদীয়া কামিল মাদরাসা পরীক্ষার কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্র সচিব উল্লিখিত অভিযোগের বিষয়গুলো নিজেই ঘটিয়েছেন। যার কারনে উক্ত তিনটি মাদরাসার ৪০(চল্লিশ) জন পরীক্ষার্থী সবাই অকৃতকার্য হয়। যা শিক্ষা বোর্ডের প্রাথমিক তদন্তে ইতোমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এমন জঘন্যতম ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের শাস্তি দাবি করে সকল পরীক্ষার্থীদের ভবিষতের কথা বিবেচনা করে পরীক্ষার্থীদের সবাইকে পাস করে দিতে তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট জোড় দাবি করেন। এবং ভবিষতে যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে সেই ব্যাপারে তিনি বোর্ড কর্তৃপক্ষকে আরো বেশি সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান।

একই বক্তব্য উল্লেখ করে হোসেনগাঁও দাখিল মাদরাসার সুপারিন্টেন্ডেন্ট মোঃ নেজামউদ্দীন এবং বাংলাগড় দাখিল মাদরাসার সহ-সুপারিন্টেন্ডেন্ট মোঃ মোফাজ্জল করীম বলেন, আজ তারা তাদের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে অসহায়। এই সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে বোর্ড কর্তৃপক্ষের নিকট আকুল আবেদন করে বলেন, অন্তত ছাত্র-ছাত্রীদেরকে যেন পরীক্ষায় পাস করে দিয়ে তাদের উচ্চতর শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ করে দেওয়া হয়। এবং ঘটনাটি তদন্ত করে যেন দ্রুত প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

উপস্থিত এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, বোর্ড কর্তৃপক্ষসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী যেন তাদের বোর্ড চ্যালেঞ্জের আবেদন মঞ্জুর করে পাস করে দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এবং যারা তাদের ফেল করে দিয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও দাবি করেন। নইলে তারা এই সংবাদ সম্মেলনের বাইরে আরো কিছু করবে বলে উল্লেখ করেন।