Home সারাদেশ সাতক্ষীরায় হৈচৈ ফেলায় দিছে গাজী আশরাফের নার্সারির ক্যান্সার প্রতিরোধক টক আতা

সাতক্ষীরায় হৈচৈ ফেলায় দিছে গাজী আশরাফের নার্সারির ক্যান্সার প্রতিরোধক টক আতা

39

নজরুল ইসলাম (সাতক্ষীরা) তালা: ক্যান্সারের চিকিত্‍সায় কেমোথেরাপি অন্যতম। এই চিকিত্‍সা চলাকালীন ক্যান্সার রোগীর গায়ের সব লোম উঠে যায়। একই সঙ্গে শরীরও দুর্বল হয়ে যায়। জানেন কি, এমন গাছ আছে, যার ফল কেমোথেরাপির চেয়ে ১০ হাজার গুণ শক্তিশালী? অথচ কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। ফলটির নাম টক আতা বা করোসল (corossol)। করোসল অ্যানোনা মিউরিকাটা গোত্রের ক্যান্সার প্রতিরোধক। ক্যান্সার প্রতিরোধে ফলের সক্ষমতা থাকার আলোচনায় সারাবিশ্বে টক আতা অগ্রণী। এ অনন্য ভূমিকার কারণে করোসল (corosso) বা টক আতাকে বিবেচনা করা হচ্ছে ভবিষ্যতের ফল হিসেবে।

ক্যান্সার রোধে করোসলের উপকারিতা পৃথিবীর বহু দেশেই প্রমাণিত। এই ফলের অন্য নামগুলি হল, গ্র্যাভিওলা, সোরসপ, গুয়ানাভা ও ব্রাজিলিয়ান পাও পাও। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ফলের এতটাই গুণ, এই ফল খেলে ক্যান্সাররোগীর কেমোথেরাপির প্রয়োজন হয় না। শরীরও চাঙ্গা থাকে, দুর্বল ভাব আসে না। মূলত, আমাজন নদীর উপত্যকা- দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলিতে করোসল প্রচুর পরিমাণে জন্মায়। শুধু ফলই নয়, এই গাছের ছাল ও পাতায় লিভার সমস্যা, আর্থরাইটিস ও প্রস্টেটের সমস্যায়ও নিরাময় হয়ে যায়।চায়না, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা, ব্রাজিল, মেক্সিকো প্রভৃতি দেশে এই ফল খুব ভালো জন্মে। এ ফল শীতপ্রধান অঞ্চলে বাঁচতে পারে না।

করোসলের Common Names: “soursop”, “prickly custard apple” এবং Scientific Name: Annona muricata । করোসল ফলের গাছটি ২৫-৩০ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট এবং স্বল্প শাখা-প্রশাখাযুক্ত হয়ে থাকে। এর ফলটি দেখতে ক্রিকেট খেলার স্টেডিয়ামের মতো ওভাল আকৃতির হয়ে থাকে। গায়ে বৃন্তযুক্ত, হলদেটে সবুজ রঙের ফলটির ভক্ষণযোগ্য অংশটি জ্যুসি। এই ফলটি আতা ফলের মতো খাওয়া ছাড়াও শরবত হিসেবে গ্রহণ করা যায়। গ্রাভিওলা আম্লিক ফল হিসেবেও পরিচিত।

করোসল ফলের ঔষধি গুনাগুণঃ বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ফল ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। এই ফল খেলে ক্যান্সাররোগীর কেমোথেরাপির প্রয়োজন হয় না। এ ফল ক্যান্সার সেলের মৃত্যু ঘটাতে কেমোথেরাপির চেয়ে এটি ১০ হাজার গুণ বেশি শক্তিশালী। করোসল গাছে রয়েছে অ্যানোনাসিয়াস অ্যাস্টোজেনিন নামে এক ধরনের যৌগ। এই যৌগ ক্যান্সারের কোষের বৃদ্ধি রুখে দেয়, যা কেমোথেরাপি করে। ফলে ক্যান্সার কোষ আর বাড়তে পারে না। বিশেষ করে স্তন ক্যান্সার, ফুসফুস ক্যান্সার, প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সার, লিভার ক্যান্সার, প্রসটেট ক্যান্সারে এটি বেশি কার্যকর। এছাড়া নিয়মিত এই ফল খেতে পারলে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটা বেড়ে যায়। শরীরও চাঙ্গা থাকে এবং দুর্বল ভাব আসে না। রক্তকে শোধিত করতেও এই ফলের গুণ অনস্বীকার্য। শুধু ফলই নয়, এই গাছের ছাল ও পাতায় লিভার সমস্যা, আর্থরাইটিস ও প্রস্টেটের সমস্যায়ও নিরাময় হয়ে যায়।

কীভাবে কাজ করে করোসল?
করোসল গাছে রয়েছে অ্যানোনাসিয়াস অ্যাস্টোজেনিন নামে এক ধরনের যৌগ। এই যৌগ ক্যান্সারের কোষের বৃদ্ধি রুখে দেয়, যা কেমোথেরাপি করে। ফলে ক্যান্সার কোষ আর বাড়তে পারে না। এছাড়া নিয়মিত এই ফল খেতে পারলে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটা বেড়ে যায়। রক্তকে শোধিত করতেও এই ফলের গুণ অনস্বীকার্য।

বাগানে চাষ করুন ঔষধি করোসল –

মাটিঃ করোসল ফলের জন্যে ৫-৬.৫ pH মাত্রার মাটি সবচেয়ে উপযোগী। মাটিতে নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভালো থাকতে হবে। বেলে মাটি এই ফলের জন্যে উপযুক্ত হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

বীজসংগ্রহ ও চারা উৎপাদনঃ করোসল ( corossol ) Soursopমাঝ বরাবর কেটে বীজ সংগ্রহ করতে হয়। একটি ফলে মোটামুটি ১২-২০ টি বীজ থাকে। এরপর ঘরের অভ্যন্তরে ছায়াযুক্ত স্থান নির্বাচন করে অঙ্কুরোদগম হওয়ার জন্যে সুযোগ দেওয়া হয়। কুসুম গরম জলে বীজকে ২৪ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হয়। পরদিন একটি ট্রেতে কোকোডাস্ট, ভার্মিকুলাইট মিশিয়ে পিট তৈরি করে বীজ বপন করতে হয়। ২-৪ সপ্তাহ পর বীজের ট্রেটিকে আলোর সংস্পর্শে নিয়ে আসতে হবে। প্রতিদিন ৪-৬ ঘন্টা সূর্যের আলোর সংস্পর্শে রাখা বাঞ্ছনীয়। করোসলের বীজ ১৫-৩০ দিনের মধ্যেই অঙ্কুরিত চারা টবে রোপণের উপযুক্ত হয়ে যায়।

ক্যান্সারের চিকিত্‍সায় কেমোথেরাপি অন্যতম। এই চিকিত্‍সা চলাকালীন ক্যান্সার রোগীর গায়ের সব লোম উঠে যায়। একই সঙ্গে শরীরও দুর্বল হয়ে যায়। জানেন কি, এমন গাছ আছে, যার ফল কেমোথেরাপির চেয়ে ১০ হাজার গুণ শক্তিশালী? অথচ কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। ফলটির নাম টক আতা বা করোসল (corossol)। করোসল অ্যানোনা মিউরিকাটা গোত্রের ক্যান্সার প্রতিরোধক। ক্যান্সার প্রতিরোধে ফলের সক্ষমতা থাকার আলোচনায় সারাবিশ্বে টক আতা অগ্রণী। এ অনন্য ভূমিকার কারণে করোসল (corosso) বা টক আতাকে বিবেচনা করা হচ্ছে ভবিষ্যতের ফল হিসেবে।

ক্যান্সার রোধে করোসলের উপকারিতা পৃথিবীর বহু দেশেই প্রমাণিত। এই ফলের অন্য নামগুলি হল, গ্র্যাভিওলা, সোরসপ, গুয়ানাভা ও ব্রাজিলিয়ান পাও পাও। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ফলের এতটাই গুণ, এই ফল খেলে ক্যান্সাররোগীর কেমোথেরাপির প্রয়োজন হয় না। শরীরও চাঙ্গা থাকে, দুর্বল ভাব আসে না। মূলত, আমাজন নদীর উপত্যকা- দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলিতে করোসল প্রচুর পরিমাণে জন্মায়। শুধু ফলই নয়, এই গাছের ছাল ও পাতায় লিভার সমস্যা, আর্থরাইটিস ও প্রস্টেটের সমস্যায়ও নিরাময় হয়ে যায়।চায়না, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা, ব্রাজিল, মেক্সিকো প্রভৃতি দেশে এই ফল খুব ভালো জন্মে। এ ফল শীতপ্রধান অঞ্চলে বাঁচতে পারে না।

করোসলের Common Names: “soursop”, “prickly custard apple” এবং Scientific Name: Annona muricata । করোসল ফলের গাছটি ২৫-৩০ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট এবং স্বল্প শাখা-প্রশাখাযুক্ত হয়ে থাকে। এর ফলটি দেখতে ক্রিকেট খেলার স্টেডিয়ামের মতো ওভাল আকৃতির হয়ে থাকে। গায়ে বৃন্তযুক্ত, হলদেটে সবুজ রঙের ফলটির ভক্ষণযোগ্য অংশটি জ্যুসি। এই ফলটি আতা ফলের মতো খাওয়া ছাড়াও শরবত হিসেবে গ্রহণ করা যায়। গ্রাভিওলা আম্লিক ফল হিসেবেও পরিচিত।

করোসল ফলের ঔষধি গুনাগুণঃ সাতক্ষীরা সদরের মুনজিত পুরের নার্সারি মালিক গাজী আশরাফ বলছেন, এই ফল ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। এই ফল খেলে ক্যান্সাররোগীর কেমোথেরাপির প্রয়োজন হয় না।আমি সহ একাধিক ব্যক্তি ক্যান্সার থেকে সুস্থ হয়েছে এই পাতার রস খেয়ে সুস্থ হয়েছে।ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ অঙ্কোলজিস্ট ডা. মনোয়ার হোসেন বলেন।আমি ও বিষয়টি শুনছি তবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে হবে গবেষণাগারে ঐ পাতায় ক্যান্সার প্রতিরোধক কোন কিছু আছে কিনা।