কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: বঙ্গোবসাগরে জলজ স্তন্যপায়ী প্রাণী তিমি, ডলফিন, শুশুকের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। গত দুই দিনে তিনটি ডলফিন মৃত অবস্থায় সাগর তীরে ভেসে আসছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, শুধুমাত্র নিরাপদ আবাসস্থল নিশ্চিতের অভাবে জেলেদের জালে আটকে পড়ে, ট্রলিং ফিসিং এর কারনে ও জাহাজের সাথে ধাক্কা খেয়ে মারা পড়ছে এ বিরল প্রজাতির সামুদ্রিক সম্পদ। এসব প্রানীর মরদেহ সকত থেকে উদ্ধার হলেও উৎকন্ঠা বাড়ছে সচেতন মহলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল দশটায় সকতের সানসেট পয়েন্টে ৬ ফুট দর্ঘ্যরে এক মৃত ডলফিন ভেসে এসেছে। এছাড়া বুধবার সাকালে ও দুপুরে কুয়াকাটার সকতে ভেসে আসে ৬ ফুট ও সাড়ে ৪ ফুট দর্ঘ্যরে দুটি মৃত ডলফিন। খবর পেয়ে বন বিভাগ ও মৎস্য বিভাগের কর্মীরা এ তিনটি ডলফিন উদ্ধার করে নমুনা সংগ্রহর পর মাটি চাপা দিয়েছেন। এ নিয়ে সকতে তিমি, ডলফিন, শুশুকসহ ২০টি মৃত জলজ স্তন্যপায়ী প্রাণী ভেসে আসে। এদিকে ইউএসএআইডি ওয়ার্ল্ডফিস বাংলাদেশে ইকোফিস-২ গবেষনা কাজ শুরু করেছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আবুল হোসেন রাজু বলেন, এ পর্যন্ত যেসব ডলফিন সাগর তীরে ভেসে এসেছে সেগুলোর উপরিভাগের চামড়া অনেকটা উঠে গেছে। উদ্ধারকৃত অধিকাংশ মৃত ডলফিনের মুখে আঘাতের চিহ্ন এবং জালের ছেড়া অংশ প্যাঁচানো রয়েছে।
ডলফিন রক্ষা কমিটির টিম লিডার রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, দিন দিন ডলফিনের মৃত্যুর সংখা বাড়ছে। এটা আসলেই উদ্বেগজন। কেন এ ডলফিন মারা যাচ্ছে এর সঠিক করান খুঁজে বের করে জীববৈচিত্র্য রক্ষা জরুরী হয়ে দাঁড়িয়েছে। তা না হলে পরিবেশের বিপর্যয় ঘটতে পারে এমনটাই দাবি করেছেন তিনি।
ইউ এস এ আইডি ওয়ার্ল্ডফিস বাংলাদেশে ইকোফিস-২ সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি বলেন, ডলফিনগুলো মারা যাবার বিভিনś কারন থাকতে পারে। যেমন গভীর সমুদ্রে ট্রলিং ফিস, ট্রলারের ও জাহাজের সাথে ধাক্কায় এবং জেলেদের জালে প্যাচিয়ে বিভিনś প্রজাতীর ডলফিনের মৃত্যু হতে পারে। গত দুই দিনে যে তিনটি মৃত ডলফিন ভেসে এসেছে তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে ডলফিন মারা যাবার প্রকৃত কারন উদঘাটন করা যাবে। তবে কুয়াকাটা সকতে এ পর্যন্ত ১৯ টি মৃত ডলফিন ভেসে এসেছে বলে তিনি জানিয়েছেন।