Home জাতীয় শান্তিপূর্ণ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন জাতির আকাক্সক্ষা: বিপিএসএন

শান্তিপূর্ণ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন জাতির আকাক্সক্ষা: বিপিএসএন

23

ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ পলিটিক্যাল সায়েন্স নেটওয়ার্ক’ (বিপিএসএন)-এর কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের দ্বিমেরুকৃত রাজনৈতিক বিভাজন সাংঘর্ষিক রূপ পরিগ্রহ করার আশংকা দেখা দিয়েছে, যা কিছুতেই কাম্য নয়। অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে নিবন্ধনকৃত সকল দলের অংশগ্রহণে এই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক এবং ব্যালটের মাধ্যমে প্রদত্ত জনগণের রায় বাঁধাহীনভাবে প্রকাশিত হোক – এটিই দেশবাসীর একান্ত কাম্য। উল্লেখ্য, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচন ব্যতীত সরকার পরিবর্তন বা সরকার গঠনের গ্রহনযোগ্য অন্যকোন পন্থা বা মাধ্যম নেই। অনির্বাচিত ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা যে-কোনো গণতান্ত্রিক সংবিধানের মূল স্তম্ভ বা কাঠামোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং অসাংবিধানিক। সংবিধান কাগজের কোনো পিন্ড নয়, যা কথায় কথায় কাঁটাছেঁড়া করা যায়। আমাদের সংবিধানের (অনুচ্ছেদ ৭) ঘোষণা: সকল ক্ষমতার মালিক জনগণই হবে সকল রাজনৈতিক কর্মকান্ডের কেন্দ্রবিন্দু।
বিবৃতিতে আরও বলেন, রাজনীতিতে বিদেশমূখীনতা দেশের জন্য কল্যাণকর হয় না। উপরন্তু বর্তমানে যেখানে উচ্চদ্রব্যমূল্য জনজীবন বিপর্যস্ত করে ফেলছে, এ অবস্থায় সাংঘর্ষিক রাজনীতি হবে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’। সংবিধান একটি জাতির সর্বোচ্চ রাজনৈতিক দলিল। একে সমুন্নত রাখা একটি জাতির পবিত্র দায়িত্ব ও কর্তব্য। অন্যদিকে, একটি সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় অবাধ, সুষ্ঠু, নির্বিঘ্ন, প্রভাবমুক্ত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। এরূপ একটি নির্বাচন অনুষ্ঠান আমাদের জাতীয় দায়িত্ব। আমরা মনে করি, সরকার, বিরোধী দল, প্রশাসন, গণমাধ্যম, পর্যবেক্ষক ও জনগণের সর্বাত্মক সহযোগিতা পেলে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের পক্ষে একটি গ্রহণযোগ্য সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠান দুঃসাধ্য নয়। নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে সহযোগীতামূলক পরিবেশ ভোটাদেরকে নির্ভীকভাবে ভোটদানে উৎসাহিত করবে।
বিবৃতিতে বলেন, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির বাস্তবতা মেনে নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ যেমন আন্দোলনরত দলসমূহের কর্তব্য, অনুরূপভাবে নির্বাচনকালীন দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান যে ‘সম্ভব’, তা প্রমাণ করা সরকার ও সরকারী দলের জন্য অপরিহার্য। তাই, এর কোনোরূপ ব্যত্যয় ঘটলে, তা শুধু জনগণেরই নয়, তাদের জন্যও সমূহ বিপদ ডেকে আনবে। অতএব, বাস্তব পরিস্থিতির তাগিদ মেনে নিয়ে সঠিক রাজনৈতিক অবস্থান গ্রহণ ও যথাযথ ভ‚মিকা পালনের জন্য আমরা নির্বাচন-ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত সকলের প্রতি বিনীত আহবান জানাচ্ছি।

বিবৃতিদাতাগণ হলেন:
ড. হারুন অর রশিদ, ড. মাহফুজুল হক চৌধুরী, মু. আনসার উদ্দিন, ড. আল মাসুদ হাসানুজ্জামান, ড. নাসিম আখতার হোসেন, ড. ভূঁইয়া মনোয়ার কবীর,ড. জালাল ফিরোজ,
ড. সাব্বীর আহমেদ, ড. গোবিন্দ চক্রবর্ত্তী, ড. মুহাম্মদ সোহরাব হোসেন, ড. হাসান জাকিরুল ইসলাম, ড. জায়েদা শারমীন, ড. আসমা বিনতে ইকবাল, ড. ফেরদৌস জামান, মু. শরিফুল ইসলাম, ড. রফিক শাহরিয়ার,ড. মামুন আল মোস্তফা, ড. নিবেদিতা রায়, নাজিয়া আরিফা, ড. শামসুন্নাহার এবং ড. শরীফ আহমেদ চৌধুরী।